স্টাফ রিপোর্টার
৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে জগন্নাথপুর-সিলেটি বাসস্ট্যান্ড নিয়ে সৃষ্ট জটিলতার সমাধান হয়নি।
বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর নিয়ে দু‘পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে কোনো সহিংসতা যাতে না হয় এই নিয়ে গত ২৭ মে জগন্নাথপুর এলাকাবাসী ও বাস মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু অদ্যাবধি বিষয়টির সমঝোতা না হওয়ায় জগন্নাথপুরের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সিলেটগামী বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর নিয়ে জগন্নাথপুর এলাকাবাসী ও বাস মালিক-শ্রমিকদের মতবিরোধ দেখা দেয়। বাস মালিক-শ্রমিকদের দাবি জগন্নাথপুর ভূমি অফিস সংলগ্ন স্থানে বাসস্ট্যান্ড থাকবে। কিন্তু জগন্নাথপুর বাসির দাবি বাসস্ট্যান্ড পুরনো স্থানে অথবা পূর্বদিকে যেকোনো নিরাপদ স্থানে সরে যাবে। জগন্নাথপুর মডেল মসজিদে নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের সমস্যা ও জগন্নাথপুর নার্সারি স্কুলের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের কথা বিবেচনা করে উপযুক্ত স্থানে বাসস্ট্যান্ড থাকার দাবি জগন্নাথপুরবাসীর। এই নিয়ে কয়েকদিন ধরে পক্ষে-বিপক্ষে মতবিরোধ দেখা দেয়।
এদিকে সৃষ্ট বিরোধ নিস্পত্তির লক্ষ্যে ২৭ মে শনিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাজেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম ও জগন্নাথপুর থানার ওসি মিজানুর রহমান দু'পক্ষের বক্তব্য শুনে বিষয়টি সমাধানের স্বার্থে শ্রমিকদের অনুরোধ করেন এবং
বাসস্ট্যান্ডটি পূর্বের স্থানে নিয়ে যাওয়া অথবা নিরাপদ কোনো স্থানে স্থানান্তর করা র জন্য অনুরোধ করেন।
প্রশাসনের এমন অনুরোধ মানতে নারাজ শ্রমিকরা। পরে সবদিক বিবেচনা করে নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম শ্রমিকদের ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দেন। কিন্তু ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে ৯ দিন অতিবাহিত হলেও সৃষ্ট জটিলতার ফলপ্রসূ হয়নি।
এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, জরুরি কাজে ঢাকায় অবস্থান করছি। ঢাকা থেকে আসার পর কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।