জগন্নাথপুরে ভুমি খেকোদের কবলে সরকারি খাল: দখল বিক্রির হিড়িক: পর্ব-১



রিপোর্ট: আমিনুর রহমান জিলু::


সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের ৬নং ওয়ার্ডের সরকারী খাল জবর দখল করে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী ভুমিখেকো চক্র।

তারা সরকারী খাল দখল করে নির্মান করছে ঘর-বাড়ী, দালান কোঠা কেউ পাকা বাথরুম, কেউ দেয়াল নির্মান, কারো পাকা ঘরের অংশ,  কারো টিনের ঘরের অংশ, বাশের বেড়া ইত্যাদি। 

আবার অনেকেই সরকারী খাল রকম ভুমি দখল বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডগায় সদর ভুমি অফিসের নিকটে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা বণিক পাড়া ও বাসুদেব বাড়ী এলাকায় অবস্তিত এই গড়খাই খাল। 

দীর্ঘদিন ধরে খালটি অবৈধভাবে দখল বেচাকেনা করছে ভুমিখেকো চক্র।

ভুমি অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নিম্নে কয়েকজন ভুমি খেকোর নাম উল্লেখ করা হলো। ওয়ার্ডের ৬ নং ওয়ার্ডের  বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসী শিবলী মিয়া, সৈয়দ আশিক আলী, লাকি বেগম, জ্যোৎস্না বেগম, এখলাছুর রহমান, মনি চন্দ, মাওলানা আবু আইয়ুব আনসারী, আব্দুল মজিদ, প্রাণী সম্পদ অফিস, দিপক কুমার চন্দ, প্রজেশ, বিষ্ণু বনিক, মঞ্জয় বনিক, মান্না বনিক, অরবিন্দু দাস, শ্যামল কর্মকার, বাবুল দে, অসিম দেব, আব্দুল কাদির, মুকুল ভভট্টাচার্য, সমীর বণিক, প্রবীর চন্দ্র দাস, সাধন দাস, সুধীর বণিক, সুভাষ রায়, বাদল চন্দ্র, সুনীল দাস, কৃষ্ণ, দেলোয়ার হোসেন সহ আরো অনেকে। 

বর্তমানে এই খালটি নতুন করে অবৈধভাবে জবরদখল হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায় পৌর শহরের বাসুদেব বাড়ী এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত 

গড়খাই খালটি বর্ষা মৌসুমে পানি নিস্কাসনের একমাত্র পথ। খালটি এভাবে বেদখল হওয়ায় এলাকার পানি নিস্কাসন ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

যার ফলে বর্ষা মৌসুমে জমে থাকা পানি ও নর্দমার পানিতে এলাকা প্লাবিত হয়। এবং জমে থাকা ময়লা আবর্জনার স্তুপে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। 

উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি অফিসের সার্ভেয়ার মুহিবুর রহমান ও জগন্নাথপুর সদর ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা কাজী শামছুল হুদা সোহেল বলেন- সরকারি খাল ভুমি খেকোদের কাছ থেকে উদ্ধার করতে দৈর্ঘ প্রস্তের মাপ নির্ধারণ করে কোনো কোনো স্থানে আমরা  লাল পতাকা স্থাপন করে দিয়েছি। 

আরো জানা যায় সুভাষ কর্মকারের পুত্র শ্যামল কর্মকার লাল পতাকা উঠিয়ে সীমানা দেয়াল ও টিনশেড ঘর নির্মাণ করে। দখলবাজ শ্যামল কর্মকারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

বর্ষা মৌসুমের আগে জবরদখলকারীদের কাছ থেকে খালটি দখলমুক্ত করতে না পারলে এলাকার পানি নিস্কাসন ব্যাবস্থা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।

জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাজেদুল ইসলাম জানান যারাই সরকারী ভুমি দখলের অপচেষ্টা করবে- আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم