জগন্নাথপুরে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করলো পাষণ্ড স্বামী



স্টাফ রিপোর্টারঃ

প্রবাসী মেয়ের টাকা পাঠানোকে কেন্দ্র করে

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে আছিয়া বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা হত্যা করা হয়েছে। 


এ ঘটনায় ঐ নারীর স্বামী  নুর আহমদকে (৫৮) আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত।

রোববার সকালে উপজেলার পাইলগাঁও রানীনগরগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


এর আগে সকাল ৭টার দিকে পাইলগাঁও গ্রামের অনঙ্গমোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাশে একটি ফিসারির পাড়ে গলা জবাই অবস্থায় আছিয়া বেগমকে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা জগন্নাথপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই আছিয়ার মৃত্যু হয়েছে। নিহত আছিয়া বেগম (৫০) ছয় সন্তানের জননী।


পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাইলগাঁও (রানীনগর) গ্রামের নুর মিয়ার সৌদিপ্রবাসী মেয়ে সিমা বেগম বিদেশ থেকে তাঁর মায়ের কাছে টাকা পাঠিয়ে আসছেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বাধে। রোববার ভোরে তাঁদের মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্বামী নুর আহমদ আছিয়া বেগমকে দা দিয়ে গলা কেটে দেন। স্ত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় ঘর থেকে দৌড়ে বাইরে পুকুরপাড়ে এসে পড়ে থাকেন।


পরে স্থানীয়রা ওই নারীকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্বামীকে খবর দিলে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এ সময় কর্মরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালে পাঠায় এবং অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে। পরে তার দেখানো তথ্য মতে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়।


স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজি মখলুছ মিয়া জানান, গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মহিলার মৃত্যু হয়েছে জেনেছি। পরে থানা পুলিশ তার স্বামীকে আটক করেন।


এদিকে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাইদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।


বিষয়টি নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন- বসতঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা দা' ও করাত উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم