মাইনুল হক সুনামগঞ্জঃ
ঝুপড়ি ঘরেই দিন গুজরান করছে অসহায় দম্পতি। তারমধ্যেই এক নিমেষে ঘরের প্রদীপ নিভে হল অন্ধকারে। আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে চিকিৎসার অভাবে গৃহকৃর্তা মকবুল হোসেন মারা যান। তাদের একটি মাত্র কন্যা সন্তান বিয়ের পরে সেও স্বামী নিয়ে বহুবছর ধরে অন্য গ্রামে কষ্টে জীবন যাপন শুরু করেছে। বেশ কয়েক বছর আগে স্বামীর মৃত্যু ও তার কোন ছেলে সন্তান নাথাকায় অসহায় ও মানবেতর জীবনযাপন করছে, মনবাহার বেগম (৭৫)।
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের মনতলা গ্রামে ছোট্ট ঝুপড়ি ঘরে বসবাসরত আছে মনবাহার বেগম। অনেক বছর আগে স্বামীর মৃত্যুতে দিশেহারা বৃদ্ধা মনবাহার বেগম। পুত্র সন্তান থাকলেও বেঁচে থাকার তাগিদ থাকত বলে প্রতিবেশীরা আক্ষেপ করছেন। একটি মাত্র ঝুপড়ি ঘর ছাড়া কিছু নেই!নেই চাষের জমিও।মেরামতের অভাবে বর্ষায় নড়বড়ে হয়েছে টিনের বেড়া বিশিষ্ট টিনের ছাউনি ঘরটি। কখন হুড়োমুড়িয়ে ছাউনি পড়বে,সেই আশঙ্কা করছে প্রতিবেশীরা। স্বামী মকবুল হোসেন দিনমজুরী করেই সংসার চালাত।
এর আগে বৃদ্ধা মহিলাটি খুবই শোচনীয় অবস্থায় ছিলেন যা সত্যিই অনেক দুঃখজনক। কয়েক সময়কাল থেকে কয়েকটি পোস্ট ও লিখালেখি করা হয়েছে ওনাকে নিয়ে শোচনীয় অবস্থায় নিয়ে । বেশিরভাগ পোস্টেই সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণের কথা বলা হয়েছে। এই বৃদ্ধ নারী জীবনের এই পর্যায়ে এসে ছোট্ট একটি খুপরি ঘরের ভিতর প্রচন্ড শীতে কাঁপছেন তো কখনো প্রচন্ড রোদে পুড়ছেন আবার কখনও বৃষ্টিতে বিঝতে হচ্ছে। মানুষ দিলে কিছু খাচ্ছেন তো কখনো ক্ষুধার যন্ত্রণা নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ছেন।উনার সাথে কথা বলে যতটুকু জানাগেল, উনার স্বামী সন্তান কেউ নেই।
তবে অনেকেই দুঃখজনক ভাবে জানান যে, ওই এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান বা স্থানীয় প্রতি নিধি এবং রাজনৈতিক নেতা গণ এই বৃদ্ধার প্রতি কোন রকমের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়নি। আর যদি দিতেন তাহলে উনি এই কলা গাছের চিপায় একটা পশু পাখির মতো জীবনযাপন করতেন না, যেটা মানব জাতিকে কলঙ্কিত করে তোলছে ।এই আধুনিক সভ্য সমাজ কে একটা প্রশ্ন বিদ্ধ করে তুলেছে। এই বৃদ্ধার বসবাস এবং জীবনযাপন দেখে যাহা ১৯৭১ সালের আমাদের স্বাধীনতার পরবর্তী দুর্ভিক্ষ কিংবা সোমালিয়ার দুর্ভিক্ষ কেও হার মানিয়েছে। তবে বর্তমান ও আধুনিক বাংলাদেশে এটা নজিরবিহীন।
তাই স্থানীয় প্রশাসকসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট একটি সরকারি ঘরের জন্য আকুল আবেদন জানান এই অসহায় বৃদ্ধা। এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান কবির এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি আমি দেখব।