বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামে স্হানীয় বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য আতাউর রহমান মিলাদের বিরুদ্ধে একটি কুচক্রি মহল কর্তৃক ভুমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনায় এলাকার জনসাধারণ ক্ষুব্ধ।
জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য আতাউর রহমান মিলাদের পিতা সাজ্জাদুর রহমান ঝুনু মিয়া ১৯৮২ সালে কুবাজপুর গ্রামের (ডুকলা কিত্তায়) সরকার কর্তৃক দুই একর ভূমি বন্দোবস্ত আনেন।পরে তিনি ২০০১ সালে পুনরায় সরকার কর্তৃক ঐ ভুমি মাঠ পর্চা পান। এর পর থেকে তারা দখলিয় ভূমিতে হাল চাষ করে আসছেন দিঘদিন। আরো জানা যায়, কুবাজপুর মৌজাধীন ঐ ভূমির জেএল নং ১৯৮, দাগ নং ২৪১৫, খতিয়ান নং ১৫১৪, ৮.১৮ শতক ভুমি। এরমধ্যে দুই একর ভুমি সাজ্জাদুর রহমান ঝুনু মিয়ার গংদের নামে লিজ প্রধান করা হয়। বর্তমানের এই ভুমিতে ইউপি সদস্য আতাউর রহমান মিলাদ মৎস্য চাষের উদ্যোগ নিলে একটি কুচক্রি মহল ইউপি সদস্য আতাউর রহমান মিলাদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে অন্যের ভুমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এই এলাকার জনপ্রিয় ইউপি সদস্য মিলাদের জনপ্রিয়তা রয়েছে।তিনি অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্চেন। জগন্নাথপুর উপজেলা রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর মৌজার , জেএল নং ১৯৮ খতিয়ান নং ১৫১৪, দাগ নং ২৪১৫, ৮.১৮ শতক ভুমির মধ্য দুই একর ভুমি। সাজ্জাদুর রহমান ঝুনু মিয়ার গংদের নামে লিজ আনাহয়। অন্যদিকে একই গ্রামের সেফালি বেগম সুনামগঞ্জের সহকারী জজ আদালতে ২৭/০১/২০২১ ইং তারিখে সাজ্জাদুর রহমান ঝুনু মিয়ার বিরুদ্ধে একটি স্বত্ব মামলা দায়ের করেন। স্বত্ব মোকদ্দমা নং- ০৭/২০২১ ইং। কিন্তু মামলাটি এখনও বিচারাধীন। এ ব্যাপারে জমির লিজ গ্রহণকারী ব্যক্তি মোঃ সাজ্জাদুর রহমান ঝুনু মিয়া বলেন, সেফালী বেগম জগন্নাথপুর পৌরসভার ০৬ নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। সেফালি বেগম গং কোনোভাবেই এই জমির দাবিদার হতে পারেননা।। আমি দিঘ ৩৯ বছর ধরে আমার দখল।এই জমির লিজ, দখল ও সকল কাগজপত্র আমার নামে রয়েছে । আশা করি, বিজ্ঞ আদালত সুবিচার করবেন। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান দীর্ঘ ৩৯ বছর যাবত এই ভুমি সাজ্জাদুর রহমান ঝুনু মিয়া গং ভুগদখল করে আসছেন। এলাকাবাসী জানান ইউপি সদস্য আতাউর রহমান মিলাদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। প্রকৃতপক্ষে সেফালী গং দের কোন জায়গা নেই, দখলই নেই উল্যেখিত ভূমিতে। কুবাজপুর গ্রামে মোহাম্মদ সুনাফর আলী জানান ৩০/৩৫ বছর ধরে ইউপি সদস্য আতাউর রহমান মিলাদ ও তার পরিবারের দখলে আছে উক্ত ভূমি। আমি তাদের এই জমিতে অনেক দিন যাবত বর্গা চাষ করেছি। একই গ্রামের সাদির মিয়া জানান আমরা জানি অনেক দিন ধরে জমিটা সাজ্জাদুর রহমান ঝুনু মিয়ার দখলে আছে। তারা জমি চাষ করে আসছেন। সেফালী বেগমের নাম তো শুনিনি কখনো। গ্রামের আরেক বাসিন্দা সুরত মিয়া জানান ইউপি সদস্য আতাউর রহমান মিলাদের পরিবারের কাছ থেকে বর্গা নিয়ে এই জমিতে আমরা চাষ করেছি, প্রায় ২০/২৫ বছর যাবত তখন তো সেফালীর নাম শুনিনি। গ্রামের অন্য আরেক বাসিন্দা ফুল মিয়া জানান আমরা ছোট বেলা থেকে দেখে এসেছি সাজ্জাদুর রহমান ঝুনু মিয়ার দখলে, যারা মিথ্যা অভিযোগ করেছে, উল্লেখিত জমি তাদের দখলে নেই।কোনদিন তাদের কথা শুনিনি।তিনি আরো বলেন, সরকারের কাছে আমাদের এলাকাবাসীর দাবী সেফালী বেগমের দখল যেহেতু নেই।জায়গাও নেই। তাই গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শেফালী বেগমের লিজ বাতিল করা হোক।বর্তমান মেম্বার মিলাদ হোসেন বলেন আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা অভিযোগ উঠেছে। একটি কুচক্রি মহল আমি আগামী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন যাতে না করতে পারি, উঠে পরে লেগেছে।আজ আমার ওয়ার্ড বাসী কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। রানীগঞ্জ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, সাজ্জাদুর রহমান ঝুনু অনেক দিন ধরে ভোগদখলে আছেন।