সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় একটি ডোবা থেকে জোরপূর্বক ভাবে মাছ লুটপাট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। রবিবার (৬জুন) তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তাহিরপুর উপজেলার ১নং শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের লাকমা নতুন পাড়া গ্রামের মৃত.শফি উদ্দিন-এর ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার লাকমা নতুন পাড়া গ্রামের বাবুল মিয়া (৪৫) ৬মাস পূর্বে তোরাব আলীর মালিকানাধীন ডোবাতে মাছ ছেড়ে রক্ষনা বেক্ষণ করে আসছিলেন। সম্প্রিতি গত বৃহস্পতিবার (৩জুন) সকাল ১১টায় উপজেলার বিন্নারবন্দ গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (৩৫), মৃত আব্দুর রশিদ-এর ছেলে আঃ মন্নান (৩৫), হাবিবুর রহমান-এর ছেলে ইয়াকুব আলী (৩০), আলী আকবর-এর ছেলে আহাদ আলী (৫০), আব্দুর রাজ্জাক-এর ছেলে আবুল কালাম (৪৫), আহাদ আলীর ছেলে আবু তাহের (৪০), হাবিবুর রহমান-এর ছেলে ইকবাল হোসেন (২৫) সহ গংরা প্রাণনাশক অস্ত্র দা, রামদা, সেল, লাঠি সোটা নিয়ে জোরপূর্বক ডাবায় প্রবেশ করে ডোবায় জাল ফেলে ডোবাতে থাকা ২লক্ষ টাকার মাছ ধরে নিয়ে যায়। মাছ নিয়ে যাওয়ার সময় বাবুল মিয়া (৪৫) বাধা দিলে প্রতিপক্ষের লোকজন বাবুল মিয়াকে অস্ত্রশস্ত্র উঁচিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এ বিষয়ে অভিযোক্ত বোরহান উদ্দিন-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটা যাদের জায়গা তারা গেছে, অভিযোগ তো একজনে করলে করতেই পারে, আমি তো বিচারক হিসাবে গেছি। এক সপ্তাহ আগে দিয়া আইছি কার জায়গা কতটুকু। এ বিষয়ে অভিযোক্ত আঃ মন্নান-এর কাছে জানতে চাইলে তিনি মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার জায়গা, তারা আমার জায়গায় কয়েকটা বাশঁ-কোঠা দিয়ে বেড়া দিছিল, সেই বাশঁ-কোঠা তুলে ফেলেছি। তারা কয়েকটা পোনা ছাড়ছিল, তাদের কে বলে দিয়েছি যে তারা তাদের মাছগুলা তুলে নেওয়ার জন্য। এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।