জগন্নাথপুরে বিদ্যুৎ না থাকায় হতদরিদ্র পরিবারের মানবেতর জীবন যাপন, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ ।



মোঃ আব্দুল ওয়াহিদ, জগন্নাথপুর

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে একটি  হতদরিদ্র পরিবারে বিদ্যুৎ না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ তাদের কাছে অমাবস্যার চাঁদের মত বলে পরিবারের অভিযোগ।  জগন্নাথপুর উপজেলার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের শেরপুর গ্ৰামের বাসিন্দা মনির আলী দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎতের জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে ও ব্যর্থ হন।পল্লী বিদ্যুৎতের খুঁটি তার ঘরের সামনে থাকলে ও পল্লী বিদ্যুতের আলো দেখা যেন তার ভাগ্যের পরিহাস। পল্লী বিদ্যুৎতের আলো যেন তার কাছে আলাউদ্দিনের প্রদীপ।যদি ও সরকারের শ্লোগান, শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জগন্নাথপুর উপজেলাকে  শতভাগ বিদ্যুৎ এর ঘোষণা করা হয়েছে ।  ২৪ মে সোমবার সরজমিনে দেখা যায় শেরপুর গ্ৰামের অনেক পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন । সরজমিন কালে মনির আলী বলেন, বিগত দুই মাস পুর্বে জগন্নাথপুর অফিসে ২৫০০টাকা কাগজ পত্রসহ আবেদন করি, অফিস রেজিষ্ট্রার (এন্ট্রি)  নং ১৭/০৫/২০২১ইং রয়েছে।  ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার কথা ভেবে ও বর্তমান কয়েক দিনের গরমে ছোট মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে টুষা উঠেছে। জগন্নাথপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তার কাছে বারবার অনুনয় বিনয়, কাকুতি মিনতি করার পর তিনি ধমক দিয়ে বলেন মিটার নাই বলেছি শোনেননি ?  লাইনম্যানকে ধমক দিয়ে বলেন ওদেরকে আমার কাছে নিয়ে আসছ কেন ?। মনির আলী আর বলেন,   আমার পরিবারে আট জন সদস্য, চার মেয়ে দুই ছেলে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।কয়েক দিনের গরমে ছোট মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে টুষা উঠেছে, আমার ২মেয়েও ২ছেলে লেখাপড়া করে। পড়ার সময় হারিকেন ও মোমবাতি জ্বালিয়ে লেখাপড়া করে। মনির আলী বলেন, দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগটি পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী  ও বিদ্যুৎ মন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করছি। এবিষয়ে জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ জগন্নাথপুর অফিসের কর্মকর্তা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (ও এন্ড এম) মাসুদ কবির তালুকদার ২৪ মে সোমবার প্রতিনিধিকে  বলেন, বিগত দেড় মাস যাবৎ সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎতে কোন মিটার নাই । মিটার কবে আসবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন,এটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না, আসলে পাবেন। শতভাগ বিদ্যুৎতের ঘোষণার পশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার শতভাগা বিদ্যু ঘোষণা দিয়েছে এখন যদি   নিউজ লিখা হলে  সরকার  তাদের  ধরবে ।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم