দিরাইয়ে হত্যা মামলার ৩২ আসামির আত্মসমর্পণ



দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শাহমূলক  হত্যা মামলার ৩২ আসামি স্বেচ্ছায় থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। 

মঙ্গলবার (১৮ মে ) দিরাই থানায় আত্মসমর্পণের পর তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দিরাই সার্কেল) আবু সুফিয়ান।  আত্মসমর্পণকারীরা হলেন, দিরাই উপজেলার বাসিন্দা পাবেল মিয়া (৩০), জয় তালুকদার (২৩), আজহার তালুকদার (২২), বাবু তালুকদার, (২৫) রেজু তালুকদার (৩০),জসিম মিয়া (৩০),ছুটিল তালুকদার (৫০), রুমান তালুকদার (২৫),ছট্ট মিয়া তালুকদার (৪০),ছলিম তালুকদার (৫২), সুজা তালুকদার (৪০),ছানুয়ার তালুকদার (৫৫),সোহাগ রাজা তালুকদার (৩৫),সারিক তালুকদার (৩০), আবুক খায়ের মিয়া (৪৫) জাহাঙ্গীর তালুকদার (৫২)  অম্রিত তালুকদার (২৪), মকুট তালুকদার (২৫), বখতিয়ার তালুকদার (২০),সুহেল মিয়া (৩০)সেজেল তালুকদার (৩৫), মেহরাব তালুকদার (২৬) লেকান্নুর মিয়া ওরফে লেকানুর (৩৫),আব্দুল হাকিম (৩২),  তফুর তালুকদার (৩৪), ছালে আহমদ তালুকদার (৪০), হুমায়ুন তালুকদার (২২) সাদেক নুর (২৫),কিবরিয়া তালুকদার( ২৫), নাছির তালুকদার (২২),আবু সালেক তালুকদার (২৬),  মীর হোসেন তালুকদার (২৭) দিরাই থানা পুলিশ সূত্র জানা গেছে, গত ১৩ মার্চ দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার, সরকারি জায়গা দখল ও মামলা মোকদ্দমার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রামের সামছুল হক ও পারুল তালুকদারের লোকদের মধ্যে সংঘটিত ওই সংঘর্ষে সামছুল হক গ্রুপের শাহমূলক (৪০) নিহত হয়। পরে নিহতের ভাই সামছুল হক  বাদী হয়ে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের পর থেকে আসামিদের ধরতে অভিযান চালায় পুলিশ কিন্তু আসামিরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আত্মগোপন করে। কিন্ত দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে দল বেঁধে দিরাই থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেন ৩২ জন হত্যা মামলার আসামি। পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা  হয়েছে।দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুর রহমান বলেন, স্বেচ্ছায় আজকে দিরাই থানায় দলবেঁধে এসে হত্যা মামলার ৩২ জন আসামি আত্মসমর্পণ করে। পরে আমরা তাদের হত্যা মামলায়  গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেছি। উল্লেখ্য,১৩ মার্চ দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের নুরনগর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার, সরকারি জায়গা দখল ও মামলা মোকদ্দমার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রামের সামছুল হক ও পারুল তালুকদারের লোকদের মধ্যে সংঘটিত ওই সংঘর্ষে সামছুল হক গ্রুপের সাহামুল্লুক (৪০) নিহত হয়। তিনি নুরনগর গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। এ ঘটনায় নুরনগর গ্রামের আনোয়ার উদ্দিনের ছেলে সামসুল হক বাদি হয়ে ৬৩ জনের  বিরোদ্ধে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশি অভিযান ও তৎপরতার কারণে আসামিরা দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم