সুনামগঞ্জে বিল খননে ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা বরাদ্ধ: তিনটি খননের কাজে অনিশ্চিয়তা



সুনামগঞ্জ থেকে ফিরে গোবিন্দ দেব

শুকনোর মওসুমের শেষ সময়ে সুনামগঞ্জ জেলার ৪৬ টি বিল খননের কাজ চলছে। কোন কোন বিলে নামে মাত্র কাজ করে টাকা হাতিয়ে নেবার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে। কোন কোনটিতে কাজ শেষ হবার আগেই বিলের তলদেশে ২-৩ ফুট পানি ওঠায় এই কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্খায় স্থানীয়রা। জেলা মৎস্য  কর্মকর্তা সীমা রানী বিশ্বাস কে নিয়ে সরজমিন  বিল পরিশর্দনের দেখা যায়, এমন দৃশ্য। 

তিনটি বিল  অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে সে গুলো হলো সুনামগঞ্জের  জামালগঞ্জ, ভিমখালী ইউনিয়নের ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে,     এলসিএস দলনেতা   আলী হোসেন কাজ করাচ্চেন। বিশম্ভরপুর  উপজেলা পলাশ ইউনিয়নে কানি বিল, টেন্ডারের মাধ্যমে  অসিম সিংহ,৩৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ, দেওয়া হয়েছে।  ,বিশম্ভরপুর  ইউনিয়নে মাগুরা বিল ৩ লক্ষ টাকা   বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে   এলসিএস  আল আমিন কাজ করাচ্চেন।। , মোট খননের বিল  ৪৬ টি বিলের  মধ্য   ৪৩ টি  বিলের  কাজের মান  ভালো হওয়ায় খুশি এলাকার  সুফলভোগীরা  জানান।।এর মধ্যে  স্হানীয়  সমস্যর কারনে তিনটি  বিল খননে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।।

জেলা মৎস্য  কর্মকর্তা সীমা রানী বিশ্বাস 

বলেছেন, ‘আমি বিলে বিলে ঘুরতেছি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়দের সহযোগিতা চেয়েছি, কাজের অতিরিক্ত টাকা কেউ নিতে পারবেন না, অনিয়মেরও কোন সুযোগ নেই।।কাজ পুরোপুরি  না করলে বিল পুরোটা দেওয়া হবে না।। এমন কি এই তিন বিলের কাজ সময় মত শেষ করতে হবে।।।। 

জেলার বিশম্ভরপুর দিরাই, ধর্মপাশা, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ, জামালগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৬ টি বিল খননের কাজ চলছে। এরমধ্যে ৪৫ টি বিল খননের কাজ ‘চুক্তি ভিত্তিক ভূমিহীন সমিতি’র মাধ্যমে করাচ্ছে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ, এজন্য বরাদ্দ ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং একটি বিল (   বিশম্ভরপুরের কানি বিল) মৎস্য অধিদপ্তর থেকে দরপত্রের মাধ্যমে খনন করানো হচ্ছে, এর বরাদ্দ ৩০ লাখ টাকা। বিশম্ভরপুরের পলাশ ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের পাশে খনন হচ্ছে কানী বিল।

আলীপুর গ্রামের তরুণ সমাজকর্মী গোলাম আকরাম বললেন, ওখানে এক্সেভেটর দিয়ে সম্প্রতি ২ দিন মাটি খননের কাজ হয়েছে। এখন বিলে ৩ থেকে ৪ ফুট সমান পানি হয়েছে। ঠিকাদারের লোকজন বিলের পাড়ে পাওয়ার পাম্প এনে রেখেছে, তবে কোন কাজ করছে না। কাজ করতেও পারবে না। আমরা মনে করছি, কাজ না করাতে পারলেও বিল হয়তোবা তুলে নেবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি মৎস্য বিভাগকে জানানো হয়েছে।

বিশম্ভরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ভুইয়া বললেন, কাগজেপত্রে কানী বিলের আয়তন ২১ দশমিক ২১ একর, বাস্তবে ৪-৫ একরের বেশি আয়তন নেই। ঠিকাদারের লোকজন ওখানে ২ দিন কাজ করেছে জানিয়ে তিনিও বললেন, এই বিল এখন আর খনন করা সম্ভব নয়। এটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমিও লিখিত জানাবো।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রানী বিশ্বাস

বললেন, কানী বিলের খননের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার অসিম সিংহকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। তার কাজ দেখভালের দায়িত্বে থাকা শ্যামল নামের আরেকজনের সঙ্গে কাজের শুরুর দিন দেখা হয়েছিল, সেও ফোন ধরছে না।

ঠিকাদারের কাজ দেখভালকারী শ্যামল নামের ওই ব্যক্তিকে এই প্রতিবেদক শুক্রবার বিকালে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

বিশম্ভরপুরের মাগুরা বিল খননের জন্য তিন লাখ ১১ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও কিছু কাজ করার পর এলাকাবাসীর বাধার জন্য এই বিলের খনন বন্ধ হয়ে গেছে।

বিলের পাশের গ্রাম ছাতারকোনার বাসিন্দা শিক্ষিত তরুণ নুরুল আলম সাগর বললেন, এই বিল খননের মাটি যেখানে ফেলা হয়েছে। পুরো হাওরের পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, এই জন্য এলাকাবাসী বাধা দিয়েছে বিল খননের কাজ বন্ধ করা হয়েছে।

জামালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অঞ্জন পুরকায়স্থ বললেন, জামালগঞ্জের দিরাই চাতল লম্বা বিল সামান্য খনন হয়েছিল, বৃষ্টির পানিতে এখন সব সমান হয়ে গেছে। কাজও বন্ধ রাখা হয়েছে। এই উপজেলার বাড়ি লামা বিলেও ৫০ ভাগেরও কম খনন হয়েছে বলে দাবি তার।

অঞ্জন পুরকায়স্থ বললেন, যে সময়ে বিল খননের কাজ শুরু হয়েছে, বেশির ভাগ বিলেরই খনন শেষ হবে না, পানি চলে আসবে প্রকল্প কমিটির লোকজন দাবি করবে খনন পুরোটাই করেছে তারা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সীমা রানী বিশ্বাস বললেন, আমি বিলে বিলে ঘুরছি, আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে কোথাও যাতে অনিয়ম না হয়। যেখানে যেটুকু খনন করা হয়েছে বা হবে এর অতিরিক্ত বিল পাবার কোন সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতা চাই আমরা। কানী বিলের খননের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছি, তিনি যেভাবে লিখিত দেবেন, সেভাবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। বিশম্ভরপুরের মাগুরা বিলের ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বার্থেও কেউ কেউ কথা বলছেন। তারা ধারণা করছেন, বিল খনন করলে ইজারা দেওয়া হবে। ইজারাদার হয়তো জমিতে সেচ দেবার পানি দেবে না, এটির কাজ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। দিরাই চাতল লম্বা বিলের খননের বরাদ্দ ১৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। ওখানে প্রথম কিস্তির ৩ লাখ টাকার বিল দেওয়া হয়েছে। চুক্তি ভিত্তিক ভূমিহীন সমিতি ৩০০ ফুটের মতো মাটি কেটেছে। কাজ না করলে বিলের টাকা দেওয়া হবে না। তিনি দাবি করলেন, বিল খননের কাজ দেওয়া হয়েছে বিলের ইজারাদার সমিতির সদস্যদের দিয়ে চুক্তি ভিত্তিক ভূমিহীন সমিতি গঠন করে। মাছ চাষের সুবিধার জন্য তারা বিল খননে নিজেরাই হয়তো অনিয়মের দিকে যাবে না।৷ 

তিনটি বিল  অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে সে গুলো হলো সুনামগঞ্জের  জামালগঞ্জ, ভিমখালী ইউনিয়নের ১৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে,     এলসিএস দলনেতা   আলী হোসেন কাজ করাচ্চেন। বিশম্ভরপুর  উপজেলা পলাশ ইউনিয়নে কানি বিল, টেন্ডারের মাধ্যমে  অসিম সিংহ,৩৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ, দেওয়া হয়েছে।  ,বিশম্ভরপুর  ইউনিয়নে মাগুরা বিল ৩ লক্ষ টাকা   বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে   এলসিএস  আল আমিন কাজ করাচ্চেন।। , মোট খননের বিল  ৪৬ টি বিলের  মধ্য   ৪৩ টি  বিলের  কাজের মান  ভালো হওয়ায় খুশি এলাকার  সুফলভোগীরা  জানান।।এর মধ্যে  স্হানীয়  সমস্যর কারনে তিনটি  বিল খননে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم