তাহিরপুরে-৩ মাস ধরে শিশু সন্তান সহ গৃহবধূ কল্পনা আক্তার নিখোঁজ

 



আমির হোসেন সুনামগঞ্জ প্রতিনিধ 



সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে গত তিনমাস ধরে তিন বছরের শিশু সন্তান সহ এক গৃহবধূ নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ গৃহবধূর নাম কল্পনা আক্তার। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বাদেরটেক ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আব্দুল আলীর মেয়ে এবং তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাকমা গ্রামের আউয়াল মিয়ার ছেলে রমজান আলীর স্ত্রী। নিখোঁজের এতোদিন অতিবাহিত হলেও তাঁদের খুঁজে না পেয়ে ভেঙে  পড়েছেন গৃহবধূর শশুর - শাশুড়ি ও পিতা - মাতা। গত তিন মাস পূর্বে স্বামীর বাড়ি থেকে শিশু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হোন কল্পনা আক্তার। নিখোঁজের পর এবিষয়ে তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গৃহবধূর শ্বশুর আউয়াল মিয়া

জানা যায়, গত ৫ বছর পূর্বে জেলার তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর (উত্তর) ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লাকমা গ্রামের আওয়াল মিয়ার বড় ছেলে রমজান আলীর সঙ্গে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক পাশ্ববর্তী সদর উপজেলার ভাদেরটেক ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আব্দুল আলীর মেয়ে কল্পনা আক্তারের বিয়ে হয়। পরে তাদের ওরশে একটি ছেলে সন্তান জন্ম হয়। যার নাম রাখা হয় রিফাত উল্লাহ। রিফাত উল্লাহ'র বর্তমান বয়স তিন বছর। গত দুই বছর পূর্বে স্বামীর নিজ বাড়িতে শিশু সন্তান রিফাত উল্লাহ সহ স্ত্রী কল্পনা আক্তার কে রেখে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে চলে যান রমজান আলী। গেল বছরের ১১নভেম্বর সোমবার সকালে স্বামী রমজান আলীর নিজ বাড়ি থেকে শিশু সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বের হয়ে কল্পনা আক্তার নিখোঁজ হোন। লাকমা গ্রামের কল্পনা আক্তারের শ্বশুর আউয়াল মিয়া বলেন, প্রায় তিন মাস আগে তার পত্রবধূ কল্পনা আক্তার তিন বছরের নাতিকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে সকালে বের হয়ে যান। পরে বিকালে খবর নিয়ে জানতে পারেন সে বাবার বাড়ীতে যায় নি। এরপর থেকে আত্মীয় স্বজন সহ পরিচিত সব জায়গায় খোজাখুজি করেও তার সন্ধান পাচ্ছেন না তিনি। এবিষয়ে নিখােঁজের পর তাহিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। এছাড়া যদি তাদের কেউ সন্ধান পান তাহলে (০১৭৬০৭৪১৭২২ ০১৫৮১৫০৬৮০৭) এই নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। সোনাপুর গ্রামের নিখোঁজ কল্পনার পিতা আব্দুল আলী জানান, আমার মেয়ে নাতিকে নিয়ে আমার বাড়িতে  আসেনি। নিখোঁজের পর থেকে অনেক যায়গায় খোঁজা খুজি করেও তাকে এখন পর্যন্ত পাচ্ছি না। তিনি মেয়েকে খুজে পেতে আইনশৃংখলা বাহিনী প্রতি জোর অনুরোধ  জানান। তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, গত তিন মাস আগে নিখোঁজের পরিবার থেকেএ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কি না আমার জানা নেই, তবে নথি দেখে  বলতে হবে। তিনি বলেন, অভিযোগ দিলে এতোদিন পর নিখোঁজের বিষয়টির এভাবে থাকার কথা নয়। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم