তামাক বিরোধী সকল কার্যক্রমে নারী মৈত্রীর পাশে থাকবেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

 


নিজস্ব প্রতিবেদক:



তামাকজাত দ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। পুরুষ হোক কিংবা নারী,উভয়ের জন্যেই সমান ক্ষতিকর এই বিষাক্ত দ্রব্য। সর্বনাশা এই নেশায় আসক্ত হওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক।নেশায় আসক্ত না হয়েও পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হতে হচ্ছে অধূমপায়ীদের। পাশাপাশি ধোঁয়াবিহীন তামাক দ্রব্য ব্যবহারের প্রবণতা নারী স্বাস্থ্যের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তামাক ব্যবহারজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ অকালে মৃত্যুবরণ করেন। জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষায় ও জীবন রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার পক্ষে বরাবরের মত এবারো একমত পোষণ করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। আজ (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন ‘নারী মৈত্রীর’ একটি প্রতিনিধি দল। মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে সংগঠনের সদস্যরা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের গুরুত্ব এবং দাবিগুলি তুলে ধরেন তাঁর সামনে। দাবি সমূহ :

*সকল ধরনের পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও গণপরিবহণে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা;

*বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা;

*তামাক কোম্পানির ‘কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; *বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা ও মোড়কবিহিন বিক্রি নিষিদ্ধ করা; *ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট (এইচটিপি) আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা;

*সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি (৫০% থেকে ৯০% এ উন্নিতকরন) ও প্লেইন প্যাকেজিংসহ তামাকজাত দ্রব্য *মোড়কজাতকরণের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম প্রণয়ন করা। নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে জানান, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের কারণে অধূমপায়ীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এর ভুক্তভোগী। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস,গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশু উভয়ই মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে কর্মক্ষেত্রে , রেস্তোরাঁ সহ সকল পাবলিক পরিবহনকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা গেলে সেখানে আগত অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৮৫% পর্যন্ত হ্রাস পাবে, শ্বাসতন্ত্র ভালো থাকবে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। মৃত্যুর এই ভয়াল ছোবল থেকে বেরিয়ে আসতে নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সচেতন হতে হবে এখনই। নারী মৈত্রীর তামাক নিয়ন্ত্রণ সকল ধরনের কার্যক্রমে সর্বদা পাশে ছিলেন মাননীয় প্রতিমন্ত্রী। এবং বরাবরের মতো এবারো নারী মৈত্রীর তামাক বিরোধী সকল ধরনের কার্যক্রমে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তামাক অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্রতিদিন ৪৪২ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেন তামাকজনিত রোগের কারনে। মৃত্যুর এই মিছিল ঠেকাতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা একান্ত জরুরী। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সচেতনতা, পাশাপাশি নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নারীর কণ্ঠস্বরকে বলিষ্ঠ করার জন্য আমাদের সবাইকে একত্র হতে হবে। এই লক্ষ্যে তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংশোধিত আইন শক্তিশালী করার দাবিতে নিরলস সমর্থন ও দাবি জানান পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم