নুসরাত জাহান খাদিজা:
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করার পক্ষে একমত পোষণ করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) নারী মৈত্রীর একটি প্রতিনিধি দল সিমিন হোসেন রিমি এর সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে, নারী মৈত্রীর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আকতার ডলি এবং টোব্যাকো কন্ট্রোল প্রজেক্টের কো-অর্ডিনেটর নাছরিন আকতার, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের গুরুত্ব ও দাবি গুলো তার সামনে তুলে ধরেন। শাহীন আকতার ডলি বলেন, পাবলিক প্লেসে ধূমপানের কারণে অধূমপায়ীরা মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এর ভুক্তভোগী। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নারীর প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস,গর্ভপাত এবং সন্তান জন্মদানে মা ও শিশু উভয়ই মৃত্যুর মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে , রেস্তোরাঁ সহ সকল পাবলিক পরিবহনকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত করা গেলে সেখানে আগত অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ৮৫% পর্যন্ত হ্রাস পাবে, শ্বাসতন্ত্র ভালো থাকবে এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। মৃত্যুর এই ভয়াল ছোবল থেকে বেরিয়ে আসতে নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের সচেতন হতে হবে এখনই। নারী মৈত্রীর তামাক নিয়ন্ত্রণ সকল ধরনের কার্যক্রমে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, তামাক অত্যন্ত ক্ষতিকর। এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে শুধু অবগত হলেই চলবেনা, যার যার অবস্থান থেকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে যাতে করে আইন শক্তিশালীকরণের পদক্ষেপ বেগবান হয় । এই ধরনের চমৎকার উদ্যোগের জন্য নারী মৈত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
দাবি সমূহ : *সকল ধরনের পাবলিক প্লেস, কর্মক্ষেত্র ও গণপরিবহণে ধূমপান পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা;
*বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা;
*তামাক কোম্পানির ‘কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা’ বা সিএসআর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা; *বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা ও মোড়কবিহিন বিক্রি নিষিদ্ধ করা; *ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট (এইচটিপি) আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করা;
*সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বৃদ্ধি (৫০% থেকে ৯০% এ উন্নিতকরন) ও প্লেইন প্যাকেজিংসহ তামাকজাত দ্রব্য *মোড়কজাতকরণের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম প্রণয়ন করা।