তাহিরপুরে মেম্বার দ্বীন ইসলামের পরিবারে ৩ পিআইসি অনুমোদনের ঘটনায় তোলপাড়

 


সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নে ৩টি পারিবারিক পিআইসি নিয়ে দায়সারাভাবে কাজ করে পিআইসি প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য দ্বীন ইসলাম রাজুর বিরুদ্ধে। দ্বীন ইসলাম বাদাঘাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার ও ইউনুছপুর গ্রামের আবু মিয়ার পুত্র। ১৯ মার্চ সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে এলাকার ৩২ জন সচেতন নাগরিক উক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।



 অভিযোগে প্রকাশ,২৮ ফেব্রæয়ারির মধ্যে ইউনিয়নের ৭৬,৭৭ ও ৭৮ নং পিআইসির কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ইউপি সদস্য দ্বীন ইসলাম রাজু কোন পিআইসির কাজই শতভাগ সম্পন্ন করেননি। অথচ পাউবো কর্মকর্তাদেরকে পার্সেন্টিজ দিয়ে প্রায় ৫০ ভাগ বিল পকেটস্থ করেছেন। এছাড়া ৩টি পিআইসির মধ্যে বরাদ্দ হচ্ছে ৭০ লক্ষ ৪৯ হাজার একশত ১৭ টাকা। এর মধ্যে ৩টি পিআইসিতে তিনি মাত্র ২৫ লাখ টাকার কাজ করেছেন। 

৩টি পিআইসির মধ্যে ৭৮ নং পিআইসির সভাপতি হচ্ছেন ইউপি সদস্য দ্বীন ইসলাম রাজু নিজে,৭৭ নং পিআইসিতে দ্বীন ইসলামের আপন ছোট ভাই রমজান আলী সদস্য সচিব,৭৬ নং পিআইসিতে দ্বীন ইসলামের ভগ্নিপতি সাজিদ মিয়া খন্দকার সভাপতি ও দ্বীন ইসলামের স্ত্রীর বড় ভাই আরিজ মিয়া সদস্য সচিব বলে জানা গেছে। পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোঃ মাকসুদ চৌধুরীর কঠোর নিষেধ থাকা স্বত্তেও পাউবোর কর্মকর্তা কর্মচারীরা মোটা অংকের টাকা আগাম উৎকোচ নিয়ে দ্বীন ইসলামের পরিবারের মধ্যে ৩টি পিআইসি অনুমোদন করেছেন। আপন ২ ভাই,স্ত্রীর বড় ভাই ও ভগ্নিপতিকে নিয়ে এক পরিবারে ৩টি পিআইসি অনুমোদনের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এছাড়া বাদাঘাট ইউনিয়নে একাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষক থাকার পরও ৩টি পিআইসিতেই মাত্র একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষককে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।    

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চেয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মামুন হাওলাদার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী এসও মোঃ শওকত উজ্জামান এর মুঠোফোনে কল করলে ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য জানা যায়নি। অভিযুক্ত দ্বীন ইসলাম রাজু ২টা বিলে ৫০% টাকা ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন উল্লেখ করে বলেন, ৭৭ নং পিআইসিতে সদস্য সচিব হিসেবে আমার আপন ছোট ভাই রমজান আলীকে এবং ৭৬নং পিআইসির সদস্যসচিব হিসেবে আমার স্ত্রীর বড় ভাই আরিজ মিয়া কে ইউএনও এবং এসও সাহেব রেখেছেন। এখানে আমার কোন হাত নেই। পিআইসির কাজে দুর্বা ঘাস নয় বস্তা ফেলে বাকী কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টায় আছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানান তিনি। নিজেদের পক্ষে পিআইসির কাজ ভাগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি ও তার আত্মীয় স্বজনরা ৮টি পৃথক আবেদন করেছেন বলেও জানান মেম্বার দ্বীন ইসলাম রাজু। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী অফিসার,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পাউবোর উপ সহকারী প্রকৌশলীকেও প্রদান করা হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন,বাঁধ ও পিআইসির কাজে কমবেশী অনেক অভিযোগ আছে সত্য। আমরা সেগুলো প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছি।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন