অমৃত জ্যোতি (ধর্মপাশা,সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের সবকটি হাওরে প্রায় বিলুপ্ত হয়েছে বিন্না ছন আর ছাইল্যা বন।প্রকৃতি হাড়িয়েছে তার মনোরম দৃশ্য।প্রভাব পরেছে পরিবেশ এবং দেশীয় পশু পাখিঁতেও।
বিগত দুই দশক আগে হাওরাঞ্চলের প্রসস্থ্য মাঠ ছড়িয়ে বিন্না ছনের ভয়ানক বাগ দেখা যেত।যে সব বাগে হিংস্র জীবজন্তু ও দেশীয় পশুপাঁখির অভাব ছিল না।
বিন্না ছন ব্যাবহার হতো ঘরের ছাওনীতে বা চালে (বর্তমানে টিনের পরিবর্তে)।পাশাপাশি ঘরের চারদিকে বেড়ার বেষ্টনীতে আবদ্ধ করতো চারদিক।
এবং হাওরের উচু কান্দা সহ গর্তে দেখা মিলত ছাইল্যা বনের।যা দিয়ে ভরা বর্ষার পানির আফাল বা ঢেউয়ের কবল থেকে বাড়ী নিরাপদ করতে বাঁশ খুটির সাথে ব্যাবহার করে বাঁধ দিয়ে বাড়ি ভাঙ্গন রোধ করা হতো।
অন্যাদিকে বিন্না ছন আর ছাইল্যা বন জ্বালিনি বা লাকড়ী হিসেবেও ব্যাবহার ছিল গ্রাম্য বধূদের হাতে কাছে পরমবন্ধু।
এখন এসব বলীন হয়েছে।তাই বিগত দিনে ব্যাবহার কারীদের একজন কৃষক উপানন্দ সরকার কথা প্রসঙ্গে বলেন-হাওরে বিন্না ছন আর ছাইল্যা বন অহন আর নাই।
তবে হঠাৎ কোথাও স্বপ্নের মতো দেখা মিলে যায় তাই প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় দেশীয় বন ফিরিয়ে আনতে বনও পরিবেশ বিদদের যথাযথ উদ্যোগ নেয়া জরুরী বলে মনে করছেন অনেকেই।
অমৃত জ্যোতি/ধর্ম/সুনামগঞ্জ
৪/৪/২০২২