সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের লোহাজুরি চরারপাড় জামে মসজিদের জায়গা জোর পূর্বক ভাবে দখল করে নেওয়ার সময় বাধাঁ দিতে গিলে প্রতি পক্ষের দাড়ালো অস্ত্রের আঘাতে ৪ জন মুসল্লি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং অন্য ১জনের অবস্থা আশংঙ্কা জনক হওয়া সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলে বাদাঘাট (উত্তর) ইউনিয়নের লোহাজুরি চরারপাড় গ্রামের বাসিন্দা মৃত কলা মিয়ার পুত্র ছমেদ মিয়া(৫৩) তার ছেলে রুবেল মিয়া (২৩), মৃত জুনাব আলীর ছেলে মো: সুরুজ মিয়া(২৮), মৃত কলম উদ্দিনের ছেলে খালেক মিয়া(৬০)। আহতদের মধ্যে খালেক মিয়ার অবস্থাা আশংকা জনক হওয়া তাকে সিলেটে রেফার্ট করা হয় বাকিদের সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যক্ষদোষী ও হাসপাতাল সুত্রে জানা যায় ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার জুম্মার নামাজের শেষে লোহাজুরি চরারপাড় জামে মসজিদের পাশে। আহতরা জানান কিছুদিন ধরে মসজিদের পাশে এলাকার হাসান আলীগংদের বসত বাড়ি রয়েছে কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই মসজিদের জায়গার উপর দিয়ে হাসান আলীগংরা যাতায়াত করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে কয়েকবার মসজিদের মুসল্লি ও চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনকে নিয়ে শালিশ পাঞ্চায়েত ও হয়েছে। পঞ্চায়েতের রায়ে হাসানআলী গংদের ৩ফুট রাস্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে মসজিদের মুসল্লিরা মানবতা দেখিয়ে হাসান আলীগংদের চলাচলের জন্য ৫ফুট রাস্তা দিতে চাইলে হাসান আলীগংরা জোর পূর্বক ভাবে ৭ফুট রাস্তা নিতে চাইলে মুসল্লিরা বাধাঁ নিষেধ করেন। এসময় তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র দাড়ালো রামদা, ডেগার,সুলফি হাতে নিয়ে পরিকল্পিত হামলা চালায় হাসান আলী ও তার স্বজনরা। হামলায় ৪ জন মুসল্লি গুরুতর আহত হন। হামলা কারীরা হল একই এলাকার বাসিন্দা মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে হাসান আলী, হাসান আলীর ছেলে কডু মিয়া,নবীউল মিয়া, খাইরুল মিয়া, খলিল মিয়া, মৃত রহমান মিয়ার ছেলে হাবি মিয়া, কামরুল্লা, আলাল মিয়া, এরশাদ মিয়া, মুর্শেদ মিয়া, সিদ্দু মিয়ার ছেলে সামছু মিয়া, গফুর মিয়ার ছেলে মনজুল হকসহ ৩০/৩৫জন মিলে হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন আহতদের স্বজনরা। এব্যপারে তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ তরফদার জানান অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।