নিজস্ব প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মাসের-পর-মাস চলাচল করছে দৈত্য আকৃতির ভয়ংকার ড্রাম ট্রাক। শৈলকুপা পৌরসভার মধ্য দিয়েই এই ট্রাকগুলো চলাচল করছে। এইসব ড্রাম ট্রাকের নেই কোন নাম্বার প্লেট ফলে কোন দুর্ঘটনা ঘটলেও এইসব ড্রাম ট্রাক কে চিহ্নিত করা যাবে না। মফস্বলের রাস্তাতে ড্রাম ট্রাক চলাচল করা নিষিদ্ধ কিন্তু এইসব ড্রাম ট্রাক গুলো কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে চলছে। এইসব ড্রাম ট্রাকে প্রতি টিপে ১০০০ ফিটেরও বেশি বালি বহন করা সম্ভব । এই ড্রাম ট্রাক গুলো চলাচলকারী রাস্তাগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে শৈলকুপা পুরাতন ব্রিজ ও ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে । বালি বহনকারী এই ড্রাম ট্রাক গুলো শৈলকুপা পৌরসভার মধ্য দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে আর এতে শৈলকুপা পৌরসভার মধ্য সবসময় রাস্তায় জ্যাম লেগেই থাকে ।এই সব ড্রাম ট্রাক গুলো দুই এক মিনিট পর পরই দেখা যায়। এতে সব থেকে ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষ ,রাস্তার ধুলোবালি যেন বাতাসেয় মিশে গেছে ।এসব দৈত্য রূপি ড্রাম ট্রাক দ্বারা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন দূর্ঘটনা ঘটছে
আর এসবের জন্য দায়ী স্থানীয় কিছু ঠিকাদাররা পুরো শৈলকুপা জুড়ে তারা মেতে উঠেছে বালি উত্তোলনে আর এসব বালি বহন করে এসব অবৈধ ড্রাম ট্রাক। এই সব ঠিকাদার তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য শৈলকুপাবাসীকে ফেলছেন ভোগান্তিতে।
কিন্তু সবকিছুর পরও মাসের পর মাস শৈলকুপাবাসী এই ঠিকাদার বা ড্রাম ট্রাকের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রতিবাদ করেনি এবার প্রশ্ন জাগতে পারে কিন্তু কেন?
এই ড্রাম ট্রাকের বিরুদ্ধে কথা বললে চলে হুমকি এতে বাদ পড়ে না গণমাধ্যমকর্মীরাও এবং কিছু অসাধু প্রশাসনের কর্মকর্তারা এদের অন্যায়ের আশ্রয়দাতা । এদের বিরুদ্ধে চুপ করে আছে শৈলকুপার সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিরাও ।তারা যেন দেখেও না দেখার ভান করছে । এইসব ড্রাম ট্রাকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ ও মুখ খুলতে নারাজ কারণ মুখ খুললেই চলে হুমকি ও হামলা।
এই ড্রাম ট্রাকের বিষয়ে অনেকবার নিউজ প্রকাশ করেও কোন লাভ হয়নি । এদের বিরুদ্ধে গেলেই নানান ধরনের হুমকির সম্মুখীন হতে হয় সাংবাদিকদেরও।