জগন্নাথপুরে নলজুর নদীর উপরে নির্মিত ডাকবাংলা রোডস্থ ব্রিজটি নিচের দিকে দেবে গেছে



স্টাফ রিপোর্টারঃ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের অভ্যন্তরে নলজুর নদীর উপরে নির্মিত ডাকবাংলা রোডস্থ ব্রিজটি নিচের দেবে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন উপজেলার লাখ  লাখ মানুষ। 

গতকাল শুক্রবার রাতে কিছুটা দেবে যাওয়া দেখা দিলেও আজ সকালে এর পরিধি আরো বাড়ে। 

ব্রিজের মাঝখানে চার নাম্বার পিলার বেশ কিছু ধেবে

যাওয়ায়- ব্রিজটি মানুষ চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ব্রিজে গতকাল থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে ব্রিজের পুনঃনির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যে ব্রিজটিকে ঝুকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে ব্রিজটিকে কেন্দ্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও কমেন্ট আলোচনা সমালোচনার, ঝড় বইছে। উপজেলার রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সর্বস্তরের  নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের জনসাধারণের অনতিবিলম্বে সেতুটি মেরামতের জোর দাবি জানিয়েছেন। 


জগন্নাথপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিন্টু রঞ্জন ধর তার ফেইসবুক আইডির একটি স্ট্যাটাসে লিখেন- 

এই সেতুটি আশির দশকে জগন্নাথপুর এর সাধারণ ব্যবসায়ী তথা জনগণের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুদানের সমন্বয়ে নির্মাণ শুরু হয়েছিল। এই সেতুর প্রধান উদ্যোগী ভূমিকায় ছিলেন প্রয়াত জননেতা বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হারুনর রশীদ হিরণ মিয়া সহ বাজারের তৎকালীন ব্যবসায়ীবৃন্দ। পরবর্তীকালে সরকারী উদ্যোগে ছাদ ঢালাই সহ আনুষাঙ্গিক কাজ সমাপ্তি করে চলাচলের উপযোগী করেছিলেন এই আসনের তৎকালীন সাংসদ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম জননেতা আব্দুস সামাদ আজাদ।

অত্যন্ত কষ্টের সহিত বলতে হচ্ছে নলজুর নদীখননের নামে দূর্নীতির মহোৎসব চালিয়ে এই সেতুটি ধংসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অবিলম্বে সেতুটি ভেঙে পূণনির্মাণ করতে হবে। বর্তমান সময়ে জগন্নাথপুর শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জনপদ হিসেবে প্রচলিত আছে। এই শহর ব্যবহার করে সুনামগঞ্জের সকল উপজেলার মানুষ দুরান্তে পাড়ি দিতে আসে যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।

এই সেতুটি বন্ধ হওয়ার ফলে যে যানজটের সৃষ্টি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ঈদের বাজারের ক্রেতাদের চলাচল ও আন্তঃজেলা গাড়ি মিলে এক অচল নগরে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। অতিদ্রুত সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।


*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন