ঝিনাইদহে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ



শেখ শোভন আহমেদ, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি

১৯ এপ্রিল ২০২২ ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ১০ নং হরিশংকরপুর ইউপির চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদ ও তার গাড়ির ড্রাইভার শাহীনের বিরুদ্ধে ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক নারী (৩৪)। গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে হরিশংকরপুর গ্রামের নরহরিদ্রা গ্রামে ফরিদের নিজ বাড়িতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী নারী। এই নারী বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে নারী জানিয়েছে, বিচার চাইতে গিয়ে ফরিদ চেয়ারম্যানের লালসার শিকার হয়েছে সে। ঘটনার বিবরণে নারী জানিয়েছে, কয়েক মাস আগে শহর তলীর কোরা পাড়া বটতলার আমির হোসেনের ছেলে মহসিন সন্তান রয়েছে জেনেও ঐ নারীকে বিয়ে করে কাজি ডেকে। কয়েক মাস তার সাথে মহসিন স্বামী স্ত্রীর মত থাকলেও পরে বিবাহ অস্বীকার করে মহসিন। এই বিষয়ে ঐ নারী প্রথম পাগলাকানাই ইউনিয়ন পরিষদের আসন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আবু সাঈদের কাছে অভিযোগ দিলে আবু সাঈদ উভয় পক্ষকে ঘটনা মিমাংসা করে ফেলতে বলে। আবু সাঈদের মিমাংশা না মেনে মহসিন শহরের বিভিন্ন মাদকসেবী ছেলে-পেলেদের ঐ নারীর পিছনে লেলিয়ে দেয়। কয়েকবার শারীরিকভাবেও নির্যাতন করে। ঐ নারীর সাথে ফরিদ চেয়ারম্যান যোগাযোগ করে ঘটনা মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায় ১৫ এপ্রিল শুক্রবার বিকালে। ঐ নারী জানিয়েছে, বিকাল ৫ টার দিকে সে ফরিদের নরহরিদ্রা গ্রামের বাড়িতে যায়। ফরিদ তাকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। এসময় তার ড্রাইভার শাহীনকে বলে কেউ এসে খোঁজ করলে বলতে বলে চেয়ারম্যান ঝিনাইদহে রয়েছে,বাড়িতে নেই। বাড়ির ভিতর নিয়ে গিয়ে ফরিদ চেয়ারম্যান বলে বাড়িতে মেহমান এসেছো কিছু না খাওয়ালে হবে। নারি বলে আমি রোজা রয়েছি।  এর পর ফরিদ ঘরে থাকা পুরোনো আলমারি থেকে ইয়াবা ট্যাবালেট বের করে ঐ নারীকে আগুন জ্বালিয়ে দিতে বলে। এসময় ঐ নারী ফরিদকে বলে সে রোজা রয়েছে। সে কি সে এসময় ভয় পেয়ে গেলে শাহীনকে ডেকে ইয়াবা জ্বালিয়ে নেয়। এসময় ঐ নারীকেও জোর করে ইয়াবা সেবন করায়। এর পরে গাঁজাও সেবন করায়। এসময় সে গাঁজা সেবন করতে না চাইলে মুখে থাপ্পড় মারে ফরিদ। এতে তার বাম চোখে আঘাত লাগে। এর পর বিছানায় নিয়ে গিয়ে খাটের স্ট্যান্ডের সাথে বাম পা বেধে প্রথমে ফরিদ ও পরে ড্রাইভার শাহীন ধর্ষণ করে। বাম পায়ের হাটুর উপরে চটে গেছে ঐ নারীর।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم