সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সিলেটের কানাইঘাটের দলইমাটি গ্রামের কথিত সাংবাদিক আব্দুল আওয়াল চৌধুরীর সিপার এর বিরুদ্ধে ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা আতœসাথের অভিযোগে প্রতারণা আইনে মামলা হয়েছে। সিলেট রংমহল টাওয়ারের ব্যবসায়ী খসরুল ইসলাম শামসুল বাদি হয়ে গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর সিলেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং কোতোয়ালি জি আর ৪৭/৯৬২. এ মামলায় সিপার চৌধুরী ১৪/২/২০২২ ইং আদালতে জামিন নিতে গেলে আদলত জামিন না দিয়ে এ কথিত সাংবাদিকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ ৩১ দিন জেল হাজতবাস করে বাদীর সাথে আপোষ মীমাংসার কথা ১৫/০৩/২০২২ ইং জামিন নেন। জামিনের পর সিপার চৌধুরী আপোষ মীমাংসা না করে উল্টো বাদীকে নানা ভাবে হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আপোষে বসলেও সিপার চৌধুরী ৫ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা স্বীকার করলেও বাকি ৪ লক্ষ টাকার কথা অস্বীকার করেন। বাদীর কাছে সিপার চৌধুরীকে টাকা দেওয়ার ভিডিওসহ যথেষ্ট প্রমাণাধি থাকার পরেও সিপার চৌধুরীর মিথ্যাচারের প্রতিবাদে বাদি আপোষ মীমাংসা সন্তোষ্ট হতে পারেন নাই। উপরন্তু বাদিকে তিনি প্রাণে হত্যার হুমকি দেন।
গত ০৩/০৪/২০২২ ইং তারিখে আব্দুল আওয়াল চৌধুরী সিপার তারবীর নামাজের পর বাদি তাহার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে আসার পথে রংমহল টাওয়ারের বিপরীতে সিটি করপোরেশন এর গাড়ি রাখার পার্কিং-এ আসামাত্র হঠাৎ করে কনটেস্ট মোটর সাইকেল নিয়ে হেলমেট পরিহিত ২ ব্যক্তি বাদির গতিরোধ করেন। চালকের আসনে থাকা সিপার চৌধুরী বাদিকে হুমকি দিয়ে বলেন, আগামী তারিখের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে বাদিকে প্রাণে হত্যা করে লাশ ঘুম করে ফেলবেন। এ নিয়ে বাদি খুব আতংকের মধ্যে আছেন বলে জানান। তিনি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সিলেট এসএমপির কোতোয়ালি থানায় সাধারণত ডায়েরি করেছেন।
মামলার বাদী খসরুল জানান, সিপার চৌধুরী আমাকে ঢাকার একটি এনজিওতে ইনভেস্ট করার জন্য প্রলোভন দেখান। তিনি বলেন এখানে ইনভেস্ট করলে কিছুদিনে শতকোটি টাকা প্রফিট করা সম্ভব। আমি তাহার প্রস্তাবে সরল বিশ্বাসে ৯ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকা তার বাসায় নিয়ে দিয়ে আসি। টাকা দেওয়ার ভিডিও আমার কাছে আছে। তিনি আমাকে টাকা বাবত ৩টি চেক দেন। কিছুদিনের মধ্যে আমি বুঝতে পারি সিপার আমার টাকা আতœসাত করেছে। এ নিয়ে আমি মামলা করেছি। সেই মামলায় সে জেলও খেটেছে। সে জেলে থাকাবস্তায় লোক মারফত আমার কাছে আপোষ এর প্রস্তাব দিয়েছে। কথা ছিল আপোষে বের হয়ে তিনি আমার টাক ফেরৎ দিবেন। জেলে থেকে বস্তায় তিনি চেকে সাইন করতে পারছেন না। তাই জেল থেকে বের হয়ে তিনি তাহার একাউন্ট থেকে টাকা তুলে আমাকে দিয়ে দিবেন। আমি রাজি হয়ে তাকে জেল থেকে মুক্ত করি। আদালত ২৭/৪/২০২২ ইং পর্যন্ত তাহার জামিন দেন। কিন্তু কথিত সাংবাদিক সিপার জেল থেকে বের হয়েই টাকা না দিয়ে সে আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এমনকি আমাকে প্রাণে মেরে আমার লাশ ঘুম করার হুমকি দিচ্ছে। আমি থানায় জিডি করেছি।
উল্লেখ্য, আব্দুল আওয়াল চৌধুরী শিপার এককালে মোহনা টিভিতে সিলেটে নিজেকে ব্যুরো প্রধান হিসেবে পরিচয় দিয়ে কাজ করলেও বিগত ২ বছর থেকে নেই সে তাহার কার্ড নিজে নিজে সংশোধন করে মেয়াদ বাড়িয়ে নিচ্ছেন। তাহার বিরুদ্ধে অতীতে অনেক মামল হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় টাকা আতœসাত প্রতারণা সহ মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে কথিত সাংবাদিক শিপারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা বলে ফোনটি বন্ধু থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী খসরুল ইসলাম শামছুল জানান,মোহনা টিভির সিলেটের ব্যুরো প্রধান হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে সে নিয়মিত চাদাঁবাজি করে আসছে। সে আমাকে ঢাকার একটি এনজিওতে টাকা ইনভেস্ট করে কোটিপতি বানানোর স্বপ্ন দেয়ায়। আমি সরল বিশ^াসে তাকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা তার বাসায় গিয়ে দিয়ে আসি। এই প্রতারনার জন্য আমি মামলা করি মামলায় জেল কেটেছে। সে এখন আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করছি। ##
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
২৫.০৪.২২