সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ড অফিস ও ভূমি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাতে মুক্তি যোদ্ধার সন্তান জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষেরা লাঞ্ছিত হওয়ার প্রতিবাদে ও ইউএনও অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলার জাহাঙ্গাহীর নগর ইউনিয়নের কাইয়ারগাঁও স্কুল মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: রইছ মিয়ার সভাপতিত্বে ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সেলিম আহমদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম (মানিক), এড. শামিম আহমদ ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মো: মকবুল হোসেন, ফারক মিয়া, শফিকুল ইসলাম,।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ইমরান শাহরিয়ার, সদর ভূমি অফিসের সহকারী তহশীলদার মো: কামাল হোসেন, এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন এবং সদর উপজেলা কার্য়ালয়ের অফিস সহকারী সিদ্ধার্থ বাবু কর্তৃক ধোপাজান নতীর তীরে বিভিন্ন সময় অভিযানের অজুহাতে এলাকার নিরীহ ব্যাক্তিদের উপর শারিরীক নির্যাতনসহ মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে বাড়ির ঘাট থেকে খালি নৌকা ধরে নিয়ে লক্ষ লক্ষটাকা জরিমানা সহ এলাকার সাধারন মানুষকে মারপিট করা হয় ইউএনও ইমরান শাহরিয়ার নেতৃত্বে প্রতিবাদ করতে গেলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ সাধারণ মানুষ এবং জন প্রতিনিধিকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে । মানব বন্ধনে অংশ গ্রহন করেন ২২টি গ্রামের শতশত মানুষ জনেরা। নির্বাহী অফিসারের এমন আচরণে ক্ষুদ্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনসহ নির্বাহী অফিসারের অপসারণের দাবী জানানো হয়। অন্যথায় আগামীতে আরও কঠোর কর্মসূচি পালণ করা হবে বলে ও হুশিয়ারি দেন মানব বন্ধনে বক্তারা ।
উল্লেখ্য যে বিগত ৯ফেব্রুয়ারী ২০২২ইংরেজী রোজ বুধবার বিকাল অনুমান ৪ঘটিকার সময় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরান শাহরিয়া ও সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী তৌশীলদার মো: কামাল হোসেন, এসিল্যান্ড অফিসের সদর উপজেলা অফিস সহকারী সিদ্ধার্থ বাবু, এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন মিলে সদর উপজেলা অবস্থিত ধোপাজান চলতি নদীর পাশে কাইয়ারগাঁও এলাকায় জব্দ কৃত বালু পাথর নিলামের জন্য যান।
ধোপাজন চলতি নদীর তীরে বারকী শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের বসত বাড়ী রয়েছে। এলাকার অনেকের নিজ মালিকানাধীন ছোট ছোট ষ্টিল নৌকা থাকে নিজ বাড়ির ঘাটে বাধাঁ থাকে।
গত ৩ফেব্রুয়ারী বৃহস্প্রতিবার অনুমান বিকাল ২ ঘটিকার সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে খালি নৌকাগুলি ধরে নিয়ে আসেন এবং উনার সাথে থাকা সহকারী তৌশীলদার, মো: কামাল হোসেন সদর উপজেলা অফিস সহকারী সিদ্ধার্থ বাবু, এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন মিলে এলাকার অনেক নিরীহ শ্রমিকদের মারধর করেন। পরবর্তীতে ৪টি খালি নৌকা সদর উপজেলা ঘাটে নিয়ে আসেন এবং শ্রমিকদের হাতে উঠানো নদীর পাড়ে থাকা কিছু পাথর জদ্ধ করে আসেন। এসময় এসিল্যান্ড অফিসের মো: কামাল হোসেন ও সদর উপজেলা অফিস সহকারী সিদ্ধার্থ বাবু, এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার আনোয়ার হোসেন মিলে কয়েক জনের কাছে নৌকা ছাড়ানোর জন্য ঘোষ দাবী করেন। তাদের দাবীকৃত ঘোষের টাকা নাদেওয়াতে মকবুলের উপর কিপ্ত হয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দিয়ে ৪টি খালি নৌকার উপর ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করানো হয়। জরিমানা পরিশোধ করে নৌকা গুলি ছাড়িয়ে নিয়ে বাড়ির ঘাটে বেধেঁ রাখেন এলাকার মানুষ। গত ৯ফেব্রুয়ারী বিকাল ৪ ঘটিকার সময় পূর্বের জব্ধকৃত পাথর নিলাম করতে গিয়ে আবার জড়িমানার খালি নৌকা ঘাটে বাধাঁ দেখে নৌকার মালিক খোঁজতে থাকেন ইউএনও। এসময় নিলামের খবর শুনে নদীর ঘাটে যান কাইয়ারগাওঁ এলাকার ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদকও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মকবুল। তাকে দেখেই ভূমি অফিসের কামাল কাছে যাওয়ার জন্য ডাক দিলে মকবুল তাদের কাছে যায় গিয়ে দেখতে পায় আবার তাদের খালি নৌকা কেন নিজ বাড়ির ঘাটে বেঁধে রেখেছে সেই জন্য গালিগালাজ করতে থাকেন ইউএনও তার সাথে থাকা অন্যান্যরা। মকবুল বলেছিল সার এটা আমাদের বাড়ির ঘাট এখানে না রাখলে কোথায় রাখব।
এই কথা বলতেই তার উপর বেআইনী ভাবে ইউএনওসহ সাথে থাকা অন্যন্্যরা হাত তুলে মারধর শুরু করেন মকবুলকে এবং অন্যায় ভাবে ধরে নিয়ে আসতে চাইলে এসময় তার বড় ভাই বর্তমান জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জিজ্ঞাসা করতেগেলে তার শার্টের কলারে ধরে টানা হেচরা করে লাঞ্ছিত করা হয় কয়েকশত মানুষের সামনে। নির্বাহী অফিসারের এমন কান্ড দেখে এলাকার সাধারণ মানুষ হতভঙ্গ হয়ে পড়েন।
এছাড়াও ও এলাকার সাধারণ মানুষকে আরও কয়েকবার মারধর করার কথা ও জানান মানববন্ধনে বক্তারা। তাই ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য নির্নাহী অফিসারের অপসারণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানান তারা।