জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে আগামীকাল ২৬ ডিসেম্বর রোববার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপুর্ন হওয়ার স্বার্থে বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের জন্য সাংবাদিকদের অনুমতি দেয়া হয়। জগন্নাথপুর ইউপি নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের জন্য ৩ দিন আগে নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমানের অফিসে সাংবাদিকদের আবেদন গ্রহন করলেও অনুমতি দিতে গড়িমসি শুরু করেন কর্তৃপক্ষ,
ফলে স্থানীয় সাংবাদিক ও বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা সাংবাদিকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। এক পর্যায়ে (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১০ টায় অফিসে আসেন সাংবাদিকরা। কার্ড আছে তো, গাড়ীর স্টিকার নেই! বা লেখার লোক নেই!- বলে নানা টালবাহানা শুরু করেন। পরে সাংবাদিকদের নিজেরাই লিখে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন নির্বাচন কর্মকর্তা।
এতে সিনিয়র সাংবাদিকদের পাশাপাশি প্রায় ৫০ জন লোক সাংবাদিকতার মত মহৎ পেশার কার্ড ভাগিয়ে নিয়ে যান তারা কারা?
এ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতায় নানা গ্রুপে বিভক্ত রয়েছে। প্রেসক্লাব রয়েছে অন্তত ৩ টি।
সেই সুবাদে কিছু লোক অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও নামে-বেনামে পোর্টালের কাগজপত্র সংগ্রহ করে ইউপি নির্বাচনে কেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য কার্ড সংগ্রহ করেছে। অতীতে এত নামধারী সাংবাদিক এ উপজেলায় লক্ষ্য করা যায়নি বলে সিনিয়র অনেকেই জানান।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন ঝামেলায় ছিলাম বলেই সাংবাদিকদের কার্ড দিতে দেরি হয়েছে। এরা ( সাংবাদিক) কেন্দ্রে যাইতে চায় বলেই সবাইকে অনুমতি দিয়ে দিলাম।
জগন্নাথপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মো: আলী হোসেন খান বলেন- সবসময় দেখে আসছি নির্বাচনে পর্যবেক্ষণের জন্য ১৫ থেকে ২০ জন সাংবাদিকরা কার্ড পেয়ে থাকে এবছর এতো সাংবাদিক জগন্নাথপুরে কোথা থেকে আসলো! এক রাতে এতো সাংবাদিক বেড়ে গেল। ওরা কারা? যাচাই বাছাই না করে সাংবাদিকের পার্স কার্ড বিতরণ করলেন কেনো নির্বাচন কর্মকর্তা?
জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম লাল মিয়া বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুর রহমানের দায়ীত্ব অবহেলা ও গাফিলতির কারণে সাংবাদিকরা রাতভর কষ্ট করেছেন। অফিসে কোন শৃংখলা পরিলক্ষিত হয়নি। যাচাই বাছাই ছাড়াই গনহারে সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষন কার্ড দেয়া হয়েছে, এবছর কার্ড বাণিজ্য হয়েছে এ দায়ীত্ব তাকেই নিতে হবে।