জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
রাশিদ উল্লা যে একজন মুক্তিযোদ্ধা, এটা সবাই জানে। মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে গবেষণাগ্রন্থে লেখা আছে তাঁর নাম। আছে সত্যিকারের সনদ ও স্বীকৃতি। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পাচ্ছেনা পরিবারটি। জীবদ্দশায়তো জোটেইনি, মৃত্যুর ১০-১৫ বছর পরও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই উওরারাধীকারী সনদ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। আর এসবের মূলে রয়েছেন ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল।
জানা যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দোস্তোপুর গ্রামের মুক্তি যোদ্ধা রাশিদ আলী মারা যাওয়ার পর তার পরিবার ইউনিয়ন পরিষদের উত্তরাধিকারী সনদ জন্য আবেদন করেন। ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল উত্তরাধীকারী সনদে স্বাক্ষর করেননি। করবে না বলে ফিরিয়ে দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ সকালে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার বার্তাটি ওয়ারলেসে পান তিনি। জগন্নাথপুরে উত্তরাধিকারী সনদপত্র পাচ্ছেনা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার: ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ | আজকের আলো
ভারতে যোদ্ধাদের জন্য ট্রেনিং এ যান। ভারতীয় তালিকা নং ২৫৭৫৬ মুক্তি বাতা নং ০৫০২০৩০০৩৩ ট্রেনিং শেষ করে রাশিদ উল্লা মুক্তি যোদ্ধায় যুদ্ধ করার জন্য ঝাপিয়ে পড়েন। মুক্তিযোদ্ধা গেজেট তালিকায় তাঁর নাম ওঠে। তবে রাশিদ আলীর স্ত্রী নিলুফা বেগম মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পাচ্ছেননা। স্বামী মারা যাওয়ায় রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের উওররাধীকারী সনদের জন্য আবেদন করেন তিনি । ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল জলিল উওররাধীকারী সনদ দিবেন না বলে ফিয়ে দেন মুক্তি যোদ্ধা স্ত্রী নিলুফা বেগমকে। মুক্তি যোদ্ধা রাশিদ আলীর পুত্র হাবিবুর রহমান আব্দুল জলিল মেম্বারের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জগন্নাথপুরে উত্তরাধিকারী সনদপত্র পাচ্ছেনা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার: ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ | আজকের আলো
অভিযোগে উল্লেখ করেন। আমার পিতা একজন মুক্তি যোদ্ধা ছিলেন। আমরা দুই ভাই এক বোন ও আমার মাকে রেখে মারা যান। বাংলাদেশ মুক্তি যোদ্ধা কল্যান ট্রাস্ট সুনামগঞ্জ মুক্তি নং ৭৮ নিয়মিত ভাতা পাচ্ছি রানীগঞ্জ ইউনিয়নের দোস্তপুর গ্রামে মুক্তযুদ্ধের সময় তার বাবা মিছির আলী পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতা করেছেন। এলাকায় রাজাকারের পরিবার হিসেবে পরিচিত। তার ছেলে ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল জলিল। মিছির আলী দোস্তপুর গ্রামের হিন্দু পরিবারের অনেক জায়গায় জোড় দখল করে রেখেছে। হিন্দু নিরিহ পরিবারকে গ্রাম তাড়িয়ে দিয়েছে। আবেদনকারী হাবিব মিয়া জানান মিছির আলী দোস্তপুর গ্রামের রাজাকার ছিলো। অনেক হিন্দু পরিবারের লোক দের জায়গায় দখল করে রেখেছে। জগন্নাথপুরে উত্তরাধিকারী সনদপত্র পাচ্ছেনা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার: ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে অভিযোগ | আজকের আলো
আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা আমাদেরকে উওররাধীকারী সনদ দেয়নাই। চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেছেন। কিন্তুু তিনি করেননি। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর উত্তরাধীকারী সনদ কেনো পাবোনা বলে মেম্বারের বিরুদ্ধে লিখত অভিযোগ দায়ের করি। ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল জলিলকে একাধিক বার মোঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি। জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পদ্মাসন সিংহ বলেন অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।