কে এম শহীদুল ইসলাম সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জ জেলায় দিন দিন বাড়ছে ভূয়া সাংবাদিকের সংখ্যা। কিছু অপেশাদার অনভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোক সাংবাদিক মহলে প্রবেশ করছে সরকার বিরোধী বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা। আর এদের সামান্য টাকার বিনিময়ে নিজেদের অনৈতিক সার্থ হাসিলের জন্য আশ্রয় সাধরে গ্রহন করছেন কিছু সম্পাদক নামধারী প্রিন্ট ও অনলাইন পত্রিকার সাংবাদিকরা। সুনামগঞ্জে ভুয়া সাংবাদিকদের উৎপাতে দিন দিন বেড়েই চলছে | আজকের আলো যার কারনে দিন দিন সাংবাদিক সমাজ এখন কলঙ্কিত হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলায়। সূশীল সমাজের কাছে এখন সাংবাদিকরা গেলে সাংবাদিক নাম শুনলেই ভয়ে ক্ষেপে উঠেন তারা। লোক সমাজে প্রতিনিয়ত ঘঠে চলেছে সাংবাদিক নামধারী অ-সাংবাদিকদের চাদাঁবাজি ও অনৈতিক কর্মকান্ড। ফলে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন প্রশাসন সহ বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তাসহ সাধারণ মানুষজনেরা। অন্য দিকে মুলধারার সাংবাদিক পেশার গনমাধ্যম কর্মীরা পড়ছেন নানান প্রশ্নের সম্মুখে। সাংবাদিক সমাজ হয়ে উঠছে এখন ক্ষমতার আরেক নাম। রাজনৈতিক নেতাকর্মী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা এখন প্রশাসনের কাছে ক্ষমতা কাটানোর জন্য কিছু সার্থলোভী সম্পাদককে টাকা দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে পরিচয়পত্র কার্ড। সুনামগঞ্জে ভুয়া সাংবাদিকদের উৎপাতে দিন দিন বেড়েই চলছে | আজকের আলো আর এসব পরিচয়পত্র কার্ড গলায় ঝুলিয়ে সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাদাঁবাজি যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। এছাড়াও সাংবাদিক সামাজে ছদ্দবেশে প্রবেশ করছে মাদকাসক্ত ও দেশ বিরোধী চক্রের আমলারা । এদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে সম্পাদক নামধারী কিছু অর্থলোভী সম্পাদকরা । যারা অনৈতিক ভাবে সাংবাদিকতা করে অল্পদিনে বনে যাচ্ছেন কোটিপতি? বানাচ্ছেন বিশাল বাড়ি ও লাখ টাকার গাড়ি। সুনামগঞ্জে ভুয়া সাংবাদিকদের উৎপাতে দিন দিন বেড়েই চলছে | আজকের আলো
সাংবাদিকতা করে অল্পদিনে কি ভাবে লাখ পতি হওয়া যায় এমন প্রশ্ন এখন সমাজে রীতিমতো চলছে প্রতিনিয়ত? সাংবাদিকতা হচ্ছে মহান পেশা যে পেশাকে মানুষ সম্মানের চোখে দেখে সম্মান করবে, কিন্তু সুনামগঞ্জ জেলা এখন সাংবাদিক পেশা যেন এক ভয়ঙ্কর পেশায় রুপ ধারন করছে? সাংবাদিক নাম শুনলেই মানুষ এখন ভয় পায় এবং ঘৃণার চোখে দেখে? কিছু দিন পর দেখা যায় চাদাঁবাজি করতে গিয়ে মাতাল অবস্থায় সাংবাদিক নামধারী কিছু অসাংবাদিকদের জনগন আটকিয়ে গণ পিঠুনি দেয় আর সাংবাদিক নামের সম্মান বজায় রাখতে কিছু অসাংবাদিকদের জন্য সাংবাদিক সমাজ মানব বন্ধন আন্দোলন করে অসাংবাদিকদের ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে দেন। সুনামগঞ্জে ভুয়া সাংবাদিকদের উৎপাতে দিন দিন বেড়েই চলছে | আজকের আলো
অন্য দিকে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিপাকে পড়ে সাংবাদিক সমাজের সম্মান অক্ষুন্য রাখতে অসাংবাদিকদের সহযোগিতা করেন তেমনটি চলছে বর্তমানে? প্রতিনিয়ত পত্রিকার পাতায় দেখা যায় সাংবাদিক নামধারী অসাংবাদিকদের তথ্যবিহীন সংবাদ প্রকাশের ধ্রুমজাল। যার কারনে হয়রানির শিকার হচ্ছে জনগনসহ কিছু সরকারী অফিস ও নিরপরাধ কর্মকর্তারা। পত্রিকার পাতায় দেখা যায় আগের দিন নিউজ পরেরদিন প্রতিবাদ। এ যেন এক নতুন ব্যবসা শুরু হয়েছে? ঐ সমস্ত অসাংবাদিকতা থেকে সাংবাদিক সমাজকে বেড়িয়ে আসতে হবে? অন্যথায় এভাবে চলতে থাকলে দিন দিন সাংবাদিক সমাজ যেমন কলঙ্কিত হচ্ছে তেমনি সাংবাদিকতার মহান পেশা একদিন ধংশ হয়ে দেশ ও জনগনের অকল্যাণ বয়ে আনবে। কয়েক মাস সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ঘুরে জানা যায় কিছু সাংবাদিক নামধারী অসাংবাদিকদের অনৈতিক কর্মকান্ডের ইতিহাত।
অনেক জায়গায় গিয়ে লজ্জায় অনেক সাংবাদিকদের মাথা নিছু হয়ে ফিরে আসতে হয় ঐ সমস্ত অসাংবাদিকদের কারনে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী সহ জন প্রতিনিধিরা জানান ইদানিং নাকি কিছু নতুন সাংবাদিক বিভিন্ন অফিসে গিয়ে উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করে তাদের বিরুদ্ধে একটি জাতীয় পত্রিকায় মিথ্যা নিউজ করে জনগনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে চলেছে প্রতিনিয়ত। অনেকে জানান কয়েক মাস আগে সুনামগঞ্জ শহরে কলেজে রাস্তাঘাটে যাদের দেখেছেন কিছু দিন পরপর সরকার বিরোধী আন্দেলন করে ছাত্রদের নিয়ে নিয়মিত রাজপথে শ্লোগান দিয়ে জনগনের মাঝে এবং প্রশাসনের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে ছিলো। সুনামগঞ্জে ভুয়া সাংবাদিকদের উৎপাতে দিন দিন বেড়েই চলছে | আজকের আলো
তারা এখন সাংবাদিক হয়েছে। কয়লা ধুয়ে যেমন ময়লা যায়না তাদের বেলায় ও ঘটে চলেছে এখন তেমনটি? এক ক্ষতিপয় সাংবাদিকের হাতধরে সাংবাদিকতার কার্ড গলায় ঝুলিয়ে দেশ ও জাতির মধ্যে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে জনগনের মাঝে ভিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যাদের এখন নিত্য দিনের পেশা হয়ে দাড়িয়েছে। নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক একাধীক ভুক্তভোগী যানান কিছু দিন আগে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে এক ক্ষতিপয় সাংবাদিক নামধারী ছাত্র ইউনিয়নের এক চিহ্নিত নেতা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে সদর হাসপাতালে তার এক আত্মীয়কে নিয়ে চিকিৎসার জন্য গেলে অধিক রোগী থাকায় তাকে রোগীদের একটি বেড (সিট) দিতে না পাড়ায় সে নার্সদের সাথে অসধাচরণ করে। সুনামগঞ্জে ভুয়া সাংবাদিকদের উৎপাতে দিন দিন বেড়েই চলছে | আজকের আলো এবং কি ভাবে চাকুরী করে দেখে নিবে বলে সাংবাদিকতার ধাপট কাটিয়ে আসে। পরের দিন একটি জাতীয় পত্রিকায় হাসপাতালের বিরুদ্ধে মিথ্যা কাল্পনিক নিউজ করে। যা সাধারণ মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। এছাড়াও আর ও যানা যায় দীর্ঘদিন যাদু কাটা নদী বন্ধ থাকার পর সরকার শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করে কর্মহীন শ্রমিকদের জন্য যাদুকাটা নদী ইজারাদারের মাধ্যমে খুলে দিয়েছেন সেখানে গিয়ে শ্রমিক বিরোধী চক্রের সাথে হাত মিলিয়ে হাজারো শ্রমিকদের ভাগ্যে কুড়াল মারার ফন্দি করে করোনা কোভিড-১৯কে পুজিঁকরে করোনার দোহাই দিয়ে (ভারতের নাগরিকরা এসে বাংলাদেশে কাজ করে এমন একটি মিথ্যা কাল্পনিক বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করে) যা সাধারণ মানুষসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে চলেছে। সুনামগঞ্জে ভুয়া সাংবাদিকদের উৎপাতে দিন দিন বেড়েই চলছে | আজকের আলো
কিছু দিন আগে আদালত বিভ্রান্তিকর নিউজের জন্য সুনামগঞ্জ কয়েকজন সাংবাদিককে তলব করেছেন বলেও জানা যায়। এবং সেই সমস্ত বিভ্রান্তিকর সাংবাদিকদের মাঝে সেও আছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে। এভাবে চলতে থাকলে সাংবাদিক সমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে এমনটি যানা যায়না। মুল ধারার সাংবাদিকদের কাছ থেকে। এদেরকে খুজে বের করে সাংবাদিক সমাজ থেকে বিতাড়িত না করলে দেশ ও সামাজের উন্নয়ন কাজ বারবার বাধাগ্রস্ত হবে এমনটাই ভাবছেন সূশীল সমাজ ও প্রকৃত সাংবাদিক মহল । প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমটি দাবী ভোক্তভোগী মানুষের।