মাইনুল হক খান:
সুনামগঞ্জের উন্নয়নের রুপকার, সদালাপী, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ সরকারের মান্যবর পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব আব্দুল মান্নান এবার আশ্বাস দিলেন অতি প্রয়োজনীয় হালোয়ার ঘাট- দাড়ার গাঁও সেতুটি নির্মাণ করে দেবেন।গত সোমবার ৩১ শে মে সন্ধ্যায় উত্তর-সুরমা চাকরিজীবী পরিষদের পক্ষে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের দল উনার সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি এই আশ্বাস দেন। সুনামগঞ্জ শহরের অতি নিকটবর্তী একটি জনবহুল ইউনিয়ন রঙ্গারচর ইউনিয়ন । লোক সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে এই রঙ্গারচর ইউনিয়নকে ভেঙে এখন তিনটি ইউনিয়নে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুরমা, জাহাঙ্গীরনগর ও রঙ্গারচর ইউনিয়ন। তিনটি ইউনিয়ন বাসির শহরের সাথে যোগাযোগের অন্তরায় সুরমা নদী। নদীর উপর একটি সেতুর অভাবে উত্তর সুরমা বাসী পাচ্ছে না অডেল উৎপাদিত কাঁচামালের ন্যায্য মূল্য, পাচ্ছে না উন্নত চিকিৎসা ও মান সম্মত শিক্ষা। প্রতি মৌসুমে এই ইউনিয়নের বিশাল ভোটব্যাঙ্কের সাহায্যে বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী, এমপি, হুইপ নির্বাচিত হয়েছেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য স্বাধীনতার পর থেকে এই বিশাল ইউনিয়ন তিনটি উন্নয়ন বঞ্চিত । জাতীয় পার্টির এরশাদ সরকারের আমলে মরহুম সাবেক মেজর ইকবাল হোসেন চৌধুরী এই এলাকার মানুষের ভালবাসা পেয়ে দুই দুইবার মন্ত্রিত্ব লাভ করেছেন। কিন্তু উত্তর সুরমায় উনার নজর পড়েনি। এমনকি জনমনের ধারণা বিদ্যুৎ মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে উত্তর সুরমার বরাদ্দকৃত বিদ্যুৎ সংযোগটি কেটে নিয়ে বিশ্বম্ভরপুর পলাশ ইউনিয়নে সংযোগ দিয়েছিলেন । সেই বিদ্যুৎ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনটি ইউনিয়ন পেয়েছেন দীর্ঘ ৩০ বছর পর। তিনি রেখেছেন উন্নয়ন বঞ্চিত, পিছিয়ে দিয়েছেন ৩০ বছর। এরপর আসল বিএনপি সরকার তখনও উত্তর সরমা বাসী যেন চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া বলার কিছুই ছিল না। সকলেই উত্তর সুরমার মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন ভোট নিয়েছেন কিন্তু কাজ করেননি। উন্নয়নের সরকার আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর উত্তর সুরমার মানুষ ধীরে ধীরে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় উত্তর সুরমার দুঃখ সুরমা নদীর উপর অতি প্রয়োজনীয় এ ব্রীজের ব্যাপারে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন উত্তর সুরমা চাকরিজীবী পরিষদের ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল। মন্ত্রী দীর্ঘসময় ব্যাপারটি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হন এবং এই সেতুটি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন ইতিমধ্যেই সেতুটির পূর্ব প্রস্তুতি শুরু হয়েছে । সয়েল টেস্ট ও স্থান নির্ধারণের কাজ চলছে কিন্তু রিপোর্টটি আসতে এত দেরি হচ্ছে কেন এই বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি তাদের আশ্বস্ত করেন, ব্রীজসহ যেকোন উন্নয়নে তিনি বরাবরের মতোই সুনামগঞ্জ তথা উত্তর সুরমার সাথে আছেন ও থাকবেন। উল্লেখ্য,সাবেক সচিব ও পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক এ ব্যাপারে সেতু মন্ত্রীর কাছে একটি আধা সামরিক পত্র দেন ও বর্তমান এমপি বিরোধী দলীয় হুইপ সংসদে সেতুর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সংসদে কথা বলেন।উক্ত দলে উপস্থিত ছিলেন উত্তর-সুরমা চাকুরিজীবী পরিষদের সভাপতি জনাব আব্দুল মান্নান চৌধুরী (উপ-পরিচালক, নায়েম), উপদেষ্টা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস মিয়া,(জি, এম, প্রাণ আরএফএল), সহ -সভাপতি ,অহিদ মিয়া, (পুলিশ ইন্সপেক্টর), আবুল কালাম আযাদ, (এক্সিকিউটিভ অফিসার, যমুনা ব্যাংক লিমিটেড) মার্সেন্টাইজার নজরুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, কর্পোরাল আলমগীর হোসেন।