ডেস্ক রিপোর্ট
ঈদ অতি সন্নিকটে। অথচ সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এখনও অধিকাংশ পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয়নি। এতে অনেকের পক্ষে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঈদের আনন্দের পরিবর্তে বিষাদ ভর করবে অসহায় এ পরিবারগুলোতে। আবার করোনা সংক্রমণ রোধে এ বছর ছুটি কমিয়ে তিন দিন করা হয়েছে। ফলে গ্রামে থাকা পরিবার ও সন্তানদের সঙ্গে একত্রে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এদিকে দীর্ঘ একটি বছর পরিশ্রম শেষে ঈদের আগে বেতন-বোনাস না পেয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনে নেমেছেন পোশাক শ্রমিকরা। বেতন বোনাসের পাশাপাশি ছুটি বৃদ্ধির দাবিও জানান তারা। শ্রমিকদের একটি দাবি
চাকরি যায় যাক তবুও বাড়ি যাব। চাকরি যায় যাক, তবুও বাড়ি যাব’ এতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান দাবি মেনে পাওনা পরিশোধ ও বাড়তি ছুটি দিলেও অনেক প্রতিষ্ঠান বেঁকে বসে। ফলে বাধ্য হয়ে ন্যায্য পাওনার দাবিতে লাগাতর আন্দোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন পোশাক শ্রমিকরা। কিন্তু বেতন-বোনাস ও ছুটি বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনে নেমে পুলিশের গুলি খেয়ে ফিরতে হয়েছে শ্রমিকদের। সোমবার গাজীপুরের টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা আন্দোলনে নামলে পুলিশের গুলিতে অনেকের শরীর ঝাঁজরা হয়ে যায়। শ্রমিকদের ভাষ্য, তার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেও বিনা উসকানিতে পুলিশ শ্রমিকদের ওপর গুলি চালায়। এতে কমপক্ষে ২৫ জন শ্রমিক আহত হন। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের ভাষ্য, শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছিল। এতে যানজট তৈরি হয়। আন্দোলরত শ্রমিকদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বললে তারা পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ রবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হন।