অভাবের তাড়নায় পিতৃহীন কিশোরীর আত্বহত্যা



নিজস্ব প্রতিবেদক::

সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পারিবারীক অভাব অনটনের তাড়না সইতে না পেরে সাথী বেগম নামে এক কিশোরী আত্বহত্যা করেছেন। শুক্রবার সন্ধায় নিহত কিশোরীর মরদেহ জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। সাথী উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের বালিজুড়ী মাইজ হাটির মৃত তারা মিয়ার মেয়ে। শুক্রবার রাতে তাহিরপুর থানার তদন্তকারি অফিসার এসআই আলমাছ মিয়া  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।শুক্রবার রাত সোয় ১০টায় নিহত সাথীর মা ফুলেদা বেগম -জানান,উপজেলার বালিজুড়ী গ্রামের মাইজ হাটির পাশর্বর্তী হাওরে একটি গরু খোঁজতে বিকেলে আমি ও আমার ছোট ছেলে মিটুন বাড়ি হতে বেড়িয়ে যাই। যাবার পুর্বে সাথীকে বাড়িতে রেখে যাই এবং রাতের ভাত রান্না করার কথা বলে যাই। সন্ধায়  বাড়ি ফিরি এসে দেখি বসতঘর লাগোয়া অপর একটি কক্ষে ধর্ণা (আড়ার) সাথে গলায় উড়না পেছিয়ে আমার কিশোরী আত্বহত্যা করেছে। তিনি আরো বলেন, পাঁচ বছর পুর্বে আমার স্বামী মারা গেলে পাথর ভাঙ্গার মিলে আবার কোন সময়  অন্যের বাড়ি বাড়ি ঝি এর  কাজ করেই সংসার চালিয়ে গেছি। আমার ছেলে মেয়ে সহ সাত জনের সংসার করোনাকালীন সময়ে অনেক দিন ছেলে মেয়েদের চাহিদা অনুযায়ী ভরন পোষণ কিংবা ঈদ সহ বিভিন্ন উৎসবে তাদেরকে নতুনপোষাক কিনে দিতে পারিনি। আমার ধারণা অভাব অনটনের কারনেই আমার কিশোরী মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم