জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের কচুরকান্দি গ্রামের সরকারী ভূমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত তরুণ সমাজসেবক উজ্বল চৌধুরীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।আজ রবিবার বিকেল চারটায় জগন্নাথপুর ও ছাতক এলাকাবাসীর আয়োজনে স্থানীয় মোহাম্মদগঞ্জ বাজারে এই কর্মসুচী অনুষ্ঠিত হয়। এতে মিরপুর ও পাটলী, ছাতক ও বিশ্বনাথসহ জগন্নাথপুরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন অংশ নেন। এলাকার বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও নিহতের বন্ধু ইসলাম জসিম উদ্দিনের পরিচালনায় এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন ছাতক উপজেলার দোলাবাজার ইউনিয়ন শায়েস্তা মিয়া, পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক,পাটলী ইউনিয়ন আওোযামী লীগের সভাপতি হাজী জমশেদ আলী, মিরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আতিকুর রহমান,, নিহতের বড় ভাই আজাদ চৌধুরী, ইউপি সদস্য আব্দুস শহীদ, খালিদ হাসান, উপজেলা যুবলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল জিলানী, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রাকিব আহমদ, সমাজকর্মী রফিক মিয়া, সাইদুর রহমান, মুক্তাদির হোসেন, কয়েছ মিয়া, কমলা মিয়া, পাটলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার আহমদ ইমন প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, নিহত উজ্জ্বল চৌধুরী একজন তরুন সমাজসেবক হিসেবে অত্র এলাকার মানুষের কাছে পরিচিত।একইভাবে জগন্নাথপুরের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়েছে তাঁর সুখ্যাতি। সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে করে আইনের আওতায় এনে খুনিদের ফাঁসি দাবী করছি। নিহতের বড় ভাই আজাদ চৌধুরী বলেন, আমার ছোট ভাই বের হয়ে স্থানে বাজারে যায়। এসময় আগ থেকে উৎপেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করেছে। ছোট ভাইয়ের খুনের ফাঁসি চাই আমরা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার উপপরির্দশক (এসআই মির্জা শাখাওয়াত জানান, ইতিমধ্যে আমরা মামলার প্রধান আসামিসহ তিনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছি। অপরাপর আসামিকে ধরতে পুলিশী অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, উপজেলার মোহাম্মদগঞ্জ বাজারে জগন্নাথপুরের কচুরকান্দি গ্রামের ফয়জুল ইসলাম ও ছাতক উপজেলার পূর্ব বসন্তপুর গ্রামের খালিছ মিয়া, ছালিক মিয়ার মধ্যে সরকারি জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে গত ১৭ মে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এরমধ্যে খালিছ মিয়ার ভাতিজা উজ্জ্বল চৌধুরী (২৯) এর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সোমবার রাতে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ মে সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। এঘটনায় পুলিশ ২০ মে রাতে রফিকুল ইসলাম হালিমসহ তিনজনকে আটক করে। নিহতের ঘটনায় উজ্জ্বল চৌধুরীর ভাই আজাদ চৌধুরী বাদি হত্যা সাতজনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।।