ডেস্ক রিপোর্টঃ
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যব্যবস্থা। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের সংকটের কারণে মারা যাচ্ছেন অনেক করোনা রোগী। মৃতদের সৎকারে শ্মশানেও জায়গার সংকুলান হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্থানে এক করোনা রোগীর সৎকারে করুণ দৃশ্য দেখা গেল। শোক সইতে না পেরে বাবার চিতার আগুনে ঝাঁপ দিলেন মেয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, রাজস্থানের ৩৪ বছর বয়সী এক নারী বাবার চিতার আগুনে ঝাঁপ দিয়ে গুরুতর দগ্ধ হন। তাঁর বাবা দমোদর দাশ শারদা কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আজ বুধবার পুলিশ জানায়, ৭৩ বছর বয়সী দামোদর দাশ করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাজস্থানের বারমার জেলার একটি হাসপাতালে মারা যান। দমোদরকে দাহ করার সময় হঠাৎ চিতার ওপর ঝাঁপ দেন তাঁর মেয়ে চন্দ্রা শারদা। দমোদরের তিন মেয়ের মধ্যে সবার ছোট চন্দ্রা। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে পুলিশ জানায়, উপস্থিত লোকজন চন্দ্রাকে চিতা থেকে উদ্ধার করলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি। তবে তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। শুরুতে পার্শ্ববর্তী এক হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। পরবর্তী সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য যোধপুরের একটি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা প্রেম প্রকাশ বলেন, ‘দামোদর দাশের তিন মেয়ে। তাঁর স্ত্রী কিছুদিন আগে মারা যান। ছোট মেয়েটা দমোদরকে দাহ করার সময় চিতার আগুনে ঝাঁপ দেন। করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার পর গত রোববার জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দামোদর। দুই দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়। বাবাকে শেষবিদায় দিতে শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর মেয়ে।
সূত্রঃ প্রথম আলো