জগন্নাথপুরে পরিকল্পনামন্ত্রীর প্রচেষ্টায় এক কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে

 

গোবিন্দ দেব, নিজস্ব প্রতিবেদক

সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর  উপজেলার  ৬০ / ৭০  হাজার  পরিবারের মাঝে নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানেটারী ল্যাট্রিন ও উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ৫টি স্থানে হাত ধোয়ার ভেসিন স্থাপন করেছে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ও একটি পৌর সভার  ২৫০  টি গ্রামে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ৪ হাজার বিশুদ্ধ পানির নলকুপ, এর মধ্যে  তিন হাজার পরিবারের লোকজন  সফল ভুগ করছেন।, ৫ হাজার  স্বাস্থ্য সম্মত সেনেটারী ল্যাট্রিন এর মধ্যে  তিন হাজার পরিবারের লোকজন  সফল ভুগ করছেন।  ও জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হাত ধোয়ার ভেসিন স্থাপন করায় গ্রামের  হতদরিদ্র পরিবারের লোকজন সুফল পাবে বলে নিশ্চিত করেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে করোনার কালীন সময়ে উপজেলাবাসীকে রক্ষা করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শে ৫ টি জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ, থানা প্রাঙ্গণ, উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ,প্রাঙ্গণ,এসকল হাত ধোয়ার ভেসিন স্থাপন করা হয়েছে। পজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপির ঐক্লান্তিক প্রচেষ্টায় তাঁর নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ-০৩ (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর)  উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির অভাব নিরসনে ও শতভাগ স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটারী ল্যাট্রিন স্থাপনে শতকোটি টাকা সরকারের বিশেষ প্রকল্পের মাধ্যমে হতদরিদ্র পরিবারকে শতভাগ স্যানিটেশনের আওতায় নিয়ে আসতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু করেন। ইতিমধ্যে জগন্নাথপুর উপজেলায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। ৯০ % কাজ শেষ হয়েছে। সরেজমিনে  জগন্নাথ পুর  পৌর এলাকার জগন্নাথপুর, উপজেলার  কলকলিয়া, পাটলী , মিরপুর, পাইলগাওঁ, চিলাউড়া হলদিপুর, রানীগঞ্জ, আাশার কান্দি, ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ঘুরে দেখা যায়, গ্রামের হতদরিদ্র ৫টি  পরিবারের মিলে  মাঝে ১টি করে নির্বাচিত হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে গভীর নলকূপ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানেটারী নলকূপ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে এবং ৯০ % ভাগ  পরিবার ইতিমধ্যে সুফল ভোগ করছেন।। লহরি  গ্রামের বাসিন্দা লিটন দেব  জানান, আমার বসত বাড়ীর আমপাশে কোন নলকূপ ছিল না। অন্যের বাড়িতে গিয়ে পানি আনতে হতো, সব সময় পানি আনা যেতো না। ভাই  পুকুরের  পানি পান করতে  হতো।। এখন সরকারি নলকূপ পাওয়ায়  পানি পান করছি। পাটলী সৈদয় পুর  গ্রামের মুসি সম্প্রদায়ের  হতদরিদ্র,নিবাস রবিদাস    জানান, আমি কারো বাড়ির নলকূপে যেতে পারতাম না। আমি সহ আমার পরিবারের কারও কাছে কোন মানুষ আসতো না, তাই বাধ্য হয়ে খালের পানি পান ও ব্যবহার করতে হতো। এখন সরকারি নলকূপ পাওয়াই বিশুদ্ধ পানি পান করতে পারছি। রানীগঞ্জ ইউনিয়নে গন্ধপুর গ্রামের বাসিন্দা  জগদিশ বিশ্বাস জানান, সরকারের  কাছ থেকে নলকূপ পাওয়ায়, পানি খাইতাম পাররা।। অন্যদিকে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  চত্বরে (২৮ এপ্রিল)সকালে  গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশনের তত্ত্বাবধানে  সরকারি অর্থায়নে হাসপাতালে  আসা উপকারভোগী লোকজন ‘‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস, ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতি রোধে  চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিরাপদ পানির সরবরাহ নিশ্চিত করছেন। যাতে করে সেবা প্রদান কারী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ জীবানু মুক্ত হয়ে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করেন এবং সেবা গ্রহীতা লোকজনও সেবা নিতে পারেন। উপজেলার মির পুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান  মাহবুব হক শেরিন  জানান,আমার ইউনিয়নে  জনগণের নলকূপের চাহিদা পূরন করা সম্ভব হবে। সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রীর প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর নলকূপ ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানেটারী  নলকূপ স্থাপনের ফলে গ্রামের হতদরিদ্র পরিবার এর সুফল পাচ্ছে। জগন্নাথপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু  জানান, পরিকল্পনা মন্ত্রী গ্রামের মানুষ। গ্রামের মানুষের কথা চিন্তা করেন। বিশেষ করে  সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারে মাঝে গভীর নলকুপ ও স্যানেটারী ল্যাট্রিন স্থাপন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এভাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী দরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়নের আরো বড় বড় প্রকল্প নিয়ে আসেন। জগন্নাথপুর  উপজেলা নিবার্হী মেহেদী হাসান  জানান, উপজেলা প্রশাসনিক ভবনে সেবা নিতে আসা লোকজনদেরকে পরিষদ চত্বরে হাত ধোয়ার ভেসিনে হাত ধোয়া এবং নো মাস্ক, নো সাভিস নিশ্চিত করে বিভিন্ন অফিসে প্রবেশ করতে হচ্ছে। আমি নিজেও এই বেসিনে হাত মূখ ধোয়ে অফিসে প্রবেশ করি। এখাসে সাবান পানির ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক ভাবে রাখা হয়েছে। মাঝে মধ্যে কিছু দুষ্টু লোকজন সাবান নিয়ে যায়। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি স্যার বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটারী লেট্টিন দেওয়ায় এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হতদরিদ্র লোকজন উপকার পাচ্ছেন। জগন্নাথপুর  উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী  প্রকৌশলী  আব্দুর রব  সরকার জানান, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি স্যারের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলায় ১শত কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। প্রকল্পটি চলমান রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে হতদরিদ্র নির্বাচনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম স্যারের  নির্দেশ কর্মে  প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে  উঠান বৈঠকের মাধ্যমে উপকারভোগী নির্বাচিত করা হয়েছে। সেই সাথে করোনা প্রর্দুভাব রুখতে আমরা জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাত ধোয়ার ভেসিন স্থাপন করেছি। যার ফলে কারোনাকালে ব্যাপকভাবে মানুষের উপকারে আসছে। প্রতিনিয়তই এই বেসিন গুলোতে সাবান পানি নিশ্চিত করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন ।জগন্নাথপুর পৌর সভায় প্রকল্প ড্রেইনিজ ও   পানি সরবাহ পাইব লাইন   প্রতিটি  ওয়াডে জন্য বরাদ্দ  ৫০ কোটি টাকা  উন্নয়ন প্রকল্পের   চলছে। জগন্নাথপুর এত উন্নয়ন কাজ  স্বপ্নেও কল্পনা করা যেতোনা।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم