মুনিয়ার হয়ে লড়তে চান ব্যারিস্টার সুমন- ভিডিও সহ নিউজ


ডেস্ক রিপোর্ট

গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অ”পরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন তার পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন । বুধবার (২৮ এপ্রিল) ব্যারিস্টার সুমনে এক ফেসবুক লাইভে  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মুনিয়ার বাবা-মা কেউ পৃথিবীতে নেই। এই এতিম মেয়ের জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যদি ভালো আইনজীবী না পান তাহলে আমি মুনিয়ার পক্ষে দাঁড়াতে চাই। তার পরিবারকে আমি আইনি সহায়তা দিতে চাই।’ ব্যারিস্টার সুমন বলেন, সবাই সবকিছু বলতে চায় কিন্তু বসুন্ধারার নামটি মুখে নিতে চান না। গণমাধ্যমসহ সব জায়গায়ই দেখলাম বসুন্ধারার নামটি নিতে কষ্ট হচ্ছে। দেশের সব মানুষ এভাবে ব”ন্দী থাকতে পারে না। বসুন্ধারার বিরুদ্ধে হাজার হাজার জমি দখল, হ”ত্যার অভিযোগ রয়েছে। অনেকগুলো জানা অভিযোগ রয়েছে, এর বাহিরেও অজানা যে কত অভিযোগ রয়েছে, কত মানুষের আর্তনাদ আর হাহাকার রয়েছে তা তো আল্লাহ মালুম।

তিনি বলেন, আ”ত্মহ”ত্যার প্ররোচনার মামলার আগে হ”ত্যাকান্ডের মামলা হওয়া দরকার। হ”ত্যাকান্ড মামলা হলেই পরিপূর্ণ ও সুষ্ঠ তদন্তে বিষয়টি উঠে আসবে। এই ধরনের ধনী লোকদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চায় না। কেউ শ”ত্রু কিনতে চায় না। মৃ”ত্যু একদিন হবেই। হয় করোনায় হবে নতুবা অন্য কোনো কারনে মৃ”ত্যু হবেই। এত বড় পা”পের বিরুদ্ধে কথা বলবেন না এটা হয় না। প্রতিবাদ করতেই হবে। আজ আমি ব্যারিস্টার সুমন কোনো অ”পরাধ করলে মিডিয়ায় প্রথমই আমার নাম চলে আসতো। মামুনুল হক সাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো মিডিয়া সবকিছু সামনে নিয়ে আসছেন। তাহলে বসুন্ধারার বিষয়ে কথা বলেন না কেনো? প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমি আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে একটাই আবেদন রাখবো, নেত্রী আপনি তো শক্তিশালী যু”দ্ধাপরাধীদেরও ৩০/৩৫ বছর পরে হলেও বিচারের মুখোমুখি করেছেন।তাই আমার বিশ্বাস জনগণের যে প্রত্যাশা আপনার ওপর, বসুন্ধরা হোক বা যে শিল্প প্রতষ্ঠানই হোক না কেন, তাদের যে কোনও ধরনের অ”পরাধ আপনি যতদিন নেতা হিসেবে থাকবেন নিশ্চই তাদের বিচার এই মাটিতে হবে। সুষ্ঠ বিচার হবে এবং জনগণের সামনে এটা প্রমাণিত হবে যে আপনি কোনোকিছুতেই পিছপা হননি। সে যেই হোক না কেন।’ একইসঙ্গে ওই ‍মৃ”ত্যুর ঘটনায় দল-মত নির্বিশেষে এই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া, বিভিন্ন মিডিয়ায় মুনিয়া ভিকটিম হওয়া সত্ত্বেও তার ছবি প্রকাশ করা হলেও আসামির ছবি প্রকাশ না করায় নিন্দা জানান সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী।প্রসঙ্গত, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় গুলশানের ১২০ নম্বর সড়কের ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে থেকে মুনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের বিরুদ্ধে আ”ত্মহ”ত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সায়েম সোবহানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মুনিয়ার। মাসে এক লাখ টাকা ভাড়ার ওই ফ্ল্যাটে মুনিয়াকে রেখেছিল সায়েম সোবহান। সে নিয়মিত ওই বাসায় যাতায়াত করতো। তারা স্বামী-স্ত্রীর মতো করে থাকতো। মুনিয়ার বোন অভিযোগ করেছেন, তার বোনকে বিয়ের কথা বলে ওই ফ্ল্যাটে রেখেছিল আনভীর। একটি ছবি ফেসবুকে দেওয়াকে কেন্দ্র করে সায়েম সোবহান তার বোনের ওপর ক্ষি”প্ত হয়। তাদের মনে হচ্ছে, মুনিয়া আ”ত্মহ”ত্যা করেনি। তাকে হ”ত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এর বিচার চান তারা।

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم