জগন্নাথপুরে উরুসের নামে নারী-পুরুষের অশ্লীল নাচ-গান প্রদর্শনী



আমিনুর রহমান জিলু

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে উরুসের নামে প্রকাশ্যে চলছে যাত্রার নাচ-গান গতকাল ২১ মার্চ রবিবার জগন্নাথপুর বাজারের পৌর পয়েন্টে  টি এন্ড অফিস সংলগ্ন স্থানে টঙ্গিটিলা দরবার শরিফের পীর সৈয়দ শাহ এলেমান চিশতি স্মরণে জগন্নাথপুর উপজেলা বাউল কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে এই অশ্লীল নাচ-গান অনুষ্ঠিত হয়। রাত ১০ ঘটিকা থেকে শুরু করে রাত ৩ টা পর্যন্ত চলে উরুসের নামে যাত্রার এই নাচ-গান এ নিয়ে সুস্থ সাংস্কৃতিমনা মহলে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভের ভিডিওতেও চলছে নানা কমেন্ট তর্ক-বিতর্ক, লাইভ ভিডিওতে দেখা যায় জগন্নাথপুরের পরিচিত মুখ বাউল হারুন মিয়া হবিগঞ্জ থেকে আগত মহিলা শিল্পী ডিজে সুমাইয়ার সাথে যাত্রা পালার ড্যান্সের ন্যায় কোমর হেলিয়া দুলিয়া অশ্লীল নাচ প্রদর্শন করতে থাকে এক পর্যায়ে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিরা অনুষ্ঠান বর্জন করে বাহিরে চলে যান। 

এব্যাপারে জগন্নাথপুর বাজার সেক্রেটারি জাহির উদ্দিন বলেন।  অনুষ্ঠান হয়েছে শুনেছি, কিন্তু আমার সাথে কেউ অনুষ্ঠান করার ব্যাপারে যোগাযোগ করেনি। আমি গান ভালোবাসি, অলি-আওলিয়াগনকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু অশ্লিলতা সমর্থন করিনা। কেউ যদি উরুসের নামে অশ্লীলতা করে থাকেন, তবে আমি এর দায়ভার নেবোনা, আমি এধরনের অশ্লীল অনুষ্ঠানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

মাওলানা আজমল হোসেন জামী সাহেব বলেন  এখানে উরুসের নামে যে অশ্লীল নাচ-গান হয়েছে তা কোনো সুস্থ সংস্কৃতি হতে পারেনা। এটা ইসলাম ধর্ম সমর্থন করেনা।

আমরা এই অশ্লীল অনুষ্ঠানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ভবিষ্যতে এই ধরনের অনুষ্ঠানের পুনরাবৃত্তি হলে আলেম সমাজ ঘরে বসে থাকবেনা।  

জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রশিদ ভুইয়ার কনিষ্ঠ ভ্রাতা জগন্নাথপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জাহেদুর রশীদ ভুইয়া বলেন উরুসের নামে এমন জঘন্য অশ্লীল নাচ-গানের প্রদর্শন কোনো সুস্থ সংস্কৃতির অংশ হতে পারেনা, এটা আসলে আট আউলিয়ার পূন্যভুমির অপমান, অলি আউলিয়াদেরকে অপমান করা হয়েছে এখানে, আমি এর নিন্দা জানাই,  আমি বুঝিনা প্রশাসন ও জগন্নাথপুর বাজার সেক্রেটারির চোখে চোখে ধুলো দিয়ে এগুলো কারা করে তা খতিয়ে দেখা দরকার। 

জগন্নাথপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন খাঁন বলেন উরুসের নামে বেহায়াপনার প্রদর্শনই যুব সমাজকে ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ঘটনা ঘটাতে উৎসাহিত করে। এগুলো আমাদের বর্জন করা উচিৎ। প্রশাসনের উচিৎ এই ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দেবার আগে তাদের সাথে কথা বলা। 










*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم