ডেস্ক রিপোর্ট
সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম স্বাধীনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।শনিবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান এ তথ্য জানান। তিনি জানান,
নোয়াগাঁও গ্রামে হামলায় মূল আসামি স্বাধীনকে পিবিআই কুলাউড়া থেকে গ্রেফতার করেছে। তাকে সিলেটে নিয়ে আসা হয়েছে।
১৭ মার্চ সুনামগঞ্জের শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার পর থেকেই ওঠে আসে স্বাধীন মেম্বারের নাম। হামলার পরদিন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়ের করা মামলায়ও স্বাধীন মেম্বারকে আসামি করা হয়।
স্বাধীনের বাড়ি শাল্লার পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার নাচনি গ্রামে। তিনি স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে এক যুবকের দেওয়া স্ট্যাটাসের জেরে ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাজারও লোক মিছিল নিয়ে এসে এই হামলা চালায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, হামলাকারীদের বেশিরভাগই আসে স্বাধীনের গ্রাম দিরাইয়ের নাচনি থেকে। স্বাধীন মেম্বারও হামলাকারীদের দলে ছিলেন। তার উপস্থিতিতেই হামলা হয়। স্বাধীন মেম্বারের সঙ্গে জলমহাল নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর বিরোধ রয়েছে। এই বিরোধের জেরে মামুনুল অনুসারীদের সঙ্গে তিনি এই হামলায় অংশ নেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ দিরাইয়ে সমাবেশ করে হেফাজতে ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। পরদিন মামুনুলের সমালোচনা করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন নোয়াগাঁওয়ের এক যুবক। এই স্ট্যাটাসের জেরে হিন্দু অধ্যুষিত ওই গ্রামটিতে হামলা চালিয়ে ৯০টিরও বেশি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ ঘটনায় দু’টি মামলা এবং স্বাধীনসহ ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।