শাল্লায় হিন্দুদের বাড়িতে হামলায় মামলা দায়েরঃ আসামী সাত শতাধিক



ডেস্ক রিপোর্টঃ

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে  হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় শাল্লা থানায় একটি মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার(১৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে চারদিকে নোয়াগাঁও গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি এই মামলা করেন।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হক।  তিনি বলেন, ঘটনার তদন্ত ও সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে মামলার বাদী, আসামিদের নাম জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় ৭শতাধিক। এর মধ্যে ৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বাকিরা অজ্ঞাত। ‘হামলার পর থেকেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি।    মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। শিগগির বিস্তারিত জানানো হবে।

পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার দিরাই উপজেলা শহরে আয়োজিত এক সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জুনাইদ বাবুনগীর ও মাওলানা মামুনুল হক বক্তব্য দেন। পরে মামুনুল হককে নিয়ে ঝুমন দাস (২৮) নামে নোয়াগাঁও গ্রামের এক যুবক ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেয়া নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে  মঙ্গলবার রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন ঝুমনকে পুলিশে তুলে দেন। কিন্তু বুধবার সকালে শাল্লা উপজেলার কাশিপুর, দিরাই উপজেলার নাসনি, সন্তোষপুর ও চন্দ্রপুর গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ লাটিসোঁটা নিয়ে শতাধিক লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে গিয়ে মানুষের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালায়।

সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ জানিয়েছেন, আটক ঝুমন দাসকে বুধবার ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ আদালতে হাজির করে। পরে আদালতের আদেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

সূত্র: সাসি

*

إرسال تعليق (0)
أحدث أقدم