জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এক শিক্ষকের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দ পুর শাহার পাড়া ইউনিয়নের চক তিলক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর
থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হামলায় আহত শিক্ষক ওই গ্রামের আব্দুল রাজ্জাক এর পুএ আশরাফুল ইসলাম।
জানা যায়, চক তিলক জামে মসজিদের বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রি বাবদ পাওনা টাকা, মুষ্টি চালের পাওনা টাকা,ইমামের খাওয়া ইত্যাদি বিষয়ে ক্যাসিয়ার আবুল কাসেম লিটনের কাছে গত বছরের পাওনা টাকা দিতে বললে, লিটন কাউকে তোয়াক্কা না করে গ্রামের মুব্বীদের সামনে মসজিদের পাওনা টাকা দিতে অস্বীকার করেন,ক্যাসিয়ার আবুল কাসেমের সাথে কথা কাটা কাটি হয়,, পরবর্তিতে সালিসির মাধ্যমে শেষ হবে বলে সবাই চলে যান, শিক্ষক আশরাফ মিয়া,চকতিলক মসজিদের মোতায়াল্লির ছেলে বাড়ি যাওয়ার পথে হঠাং হামলায় আহত দাওরাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আশরাফ মিয়া উপর লিটন মিয়া নেতৃত্বে হামলা করা হয়।
দীর্ঘ দিন যাবৎ চক তিলক জামে মসজিদের বিরোধ চলে আসছিলো।
এক পর্যায়ে অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলায় আহত শিক্ষক আশরাফ মিয়াকে জগন্নাথপুর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আশরাফ মিয়া
বলেন, আমি কোন কিছু জানতে পারিনি, হঠাং লিটন,ফরহাদ রাফি,সিরাজমিয়ার হুকুমে আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ে,ও আমাকে আহত করে।,চকতিলক জামে মসজিদের মোতাল্লি জনাব আব্দুল রজাক বলেন,প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এলাকার মানুষের উপর বিভিন্ন সময়ে ত্রাস সৃষ্টি করে আসছে তারা। তিনি আরো বলেন সিরাজ মিয়া গং নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন করে আসছে। তারা জমি দখল সহ, সরকারি জায়গা দখল করে মার্কেট বানিয়ে ব্যবস্হা করছে।
চক তিলক জামে মসজিদের মুসল্লী আব্দুল রাজ্জাক বলেন মসজিদের কোন বিষয় নিয়ে সমস্যা থাকলে আমার সাথে কথা না বলে আমার ছেলের উপর হামলা করে রক্তাক্ত করা ঠিক হয়নি,,
জগন্নাথপুর থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন চক তিলক জামে মসজিদের হিসাব নিকাশ নিয়ে কথা কাটার এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। শিক্ষক আশাফুল মিয়া লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।।।