খাদ্য সহায়তা, পুনর্বাসন ও ভবিষ্যতে করনীয় সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাথে সামাদ ডনের মতবিনিময়



রিপোর্টঃ আমিনুর রহমান জিলু


সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খাদ্য সহায়তা, পুনর্বাসন ও ভবিষ্যতে করনীয় সম্পর্কে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য- আজিজুস সামাদ আজাদ ডন।

ভারতের মেঘালয়, শিলচর, আসাম সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা পানিতে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলা- উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়- এতে পানি বন্ধি হয়ে ব্যাপক আকারে  ক্ষতিগ্রস্থ হন লাখ লাখ মানুষ। সাম্প্রতিক স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার মানুষ  মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হন। বাড়ী ঘর, আসবাবপত্র, রাস্তাঘাট দোকানপাট, গরু বাছুর, হাঁস-মুরগী, এমনকি মানুষও বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে।


খাদ্য নেই! বিশুদ্ধ পানি নেই! বিদ্যুৎ নেই, নেটওয়ার্ক নেই! ফলে- সড়ক, পানি, ও টেলি যোগাযোগ ব্যাবস্থা একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে- পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করে।


এসময় বানবাসী মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে আসেন দেশে এবং প্রবাসের  রাজনৈতিক সংগঠন, চ্যারিটি সংস্থা, ও বিভিন্ন মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশন। শতভাগ মানুষের ঘরে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি না পৌছুলোও বেশিরভাগ মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌছে দিয়েছেন এসকল নেতৃবৃন্দ ও সংস্থা। 


এতে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন বানবাসী মানুষ।


এদিকে- ভবিষ্যতে এসকল পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন- ভাটি বাংলার সিংহ পুরুষ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রয়াত জাতীয় নেতা, আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদের সুযোগ্য পুত্র- বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী  কমিটির অন্যতম সদস্য- আজিজুস সামাদ আজাদ ডন। 


তিনি বলেন- ভারতের কাছ থেকে আগাম বন্যার পূর্বাভাস জানতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমি অনুরোধ জানাবো- অন্তত ১২ ঘন্টা আগে যদি আমরা বন্যার পূর্বাভাস জানতে পারি তবে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে পারবো।


তিনি আরো বলেন- বন্যার আগে থেকেই আমি দলীয় নেতা কর্মীদের সহযোগীতায় জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন, পৌরসভা ওয়ার্ড, গ্রাম ও মহল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। বন্যাকালীন সময়ে দুই উপজেলায় আমরা প্রায় ৫ হাজার পরিবারের মাঝে চাল ডাল সহ নিত্য পন্যের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে তাদের পাশে ছিলাম! এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।  তিনি বলেন- আমার পিতা মরহুম আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ যেভাবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও সংকটকালীন সময়ে দেশ ও দেশের মানুষের পাশে ছিলেন- আমি তার সেই ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। দেশের জন্য- দেশের মানুষের জন্য শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও তাদের পাশে থাকতে চাই।


স্বপ্নের পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, সহ দেশব্যাপী বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপক প্রশংসা করে তিনি আরো বলেন- দরিদ্র দেশ থেকে আমরা এখন উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছি, মানুষের সক্ষমতা বেড়েছে, আকাঙ্খা বাড়ছে চাহিদাও বেড়েছে- ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা মালয়েশিয়ার পর্যায়ে যাবো। স্তিতিশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে আমরা এখন ২৫ তম অবস্থানে আছি।


গতকাল ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। 


এসময় উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তাদীর আহমেদ মুক্তা

উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন মাষ্টার, , উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ সূত্রধর বীরেন্দ্র, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল জব্বার, আওয়ামী লীগ নেতা কালি কুমার রায় পলাশ,

পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি পীর ছালিক আহমদ ডন, আওয়ামীলীগ নেতা আফু মিয়া, কলকলিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান সহ জগন্নাথপুর উপজেলার  প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিভিন্ন সংবাদ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।



*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন