সুনামগঞ্জ বন্যা কবলিত মানুষের পাশে শুরু থেকে নিরলস সেবা দানে পুলিশ সদস্যরা

 


কে এম শহীদুল সুনামগঞ্জ:

অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে চোখের পলকে বন্যায় কবলিত হয়ে পড়ে সুনামগঞ্জ বাসী। পানিতে ডুবে যায় সারা জেলার শতশত গ্রাম ও বাড়িঘর। পানি বন্ধি হয়ে লাখো লাখো মানুষ জীবনের সাথে এক কঠিন বাস্তবতা সামনে রেখে অসহায় হয়ে পড়ে ঐ সমস্ত পানি বন্ধি মানুষেরা । প্রত্যেকের পরিবারের এবং নিজেদের জীবন বাচাঁতে দিশেহারা হয়ে পড়ে সবাই। যার যার চিন্তা নিয়ে ব্যস্ত সবাই কে কাকে উদ্ধার করবে সহযোগিতা করবে সেই সময় টুকু নেই যেন কারও কাছে। স্বার্থ পরের মতো নিজ নিজ জীবন বাচাঁতে চিন্তা ভাবনা সবার মধ্যে? ১৬ই জুন হঠাৎ করে ভাবনা কল্পনার বাহিরে আকস্মিক দ্রুত গতিতে বন্যায় প্লাবিতহয়ে পড়ে সারা সুনামগঞ্জ জেলা। পানিতে ডুবে যায় সুনামগঞ্জ শহরের রাস্তাঘাট হাট বাজার অফিস আদালত ও প¦ার্শবর্তী গ্রামগুলি। বিদ্যুৎতের আলো থেকে অন্ধঁকারে রুপনেয় সারা শহর ও গ্রাম, অন্য দিকে বৃষ্টির ভারি বর্ষণ। একদিকে পানি, একদিকে অন্ধঁকার,তার মধ্যে আবার বৃষ্টি, চলাচলের রাস্তাও চলে যায় পানির নিচে হঠাৎ করে নৌকাও নেই, মোবাইলে নেই সংযোগ, দিশেহারা হয়ে পড়ে মানুষেরা এদিক ওদিক ছুটতে থাকে সাবাই নিজ নিজ আশ্রয় সন্ধানেঁ। সুনামগঞ্জ সদর থানাও চলে যায় ৪ফুট পানির নিচে। ঠিক তখনি সুনামগঞ্জ জেলার মানবিক পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদউন্নতি প্রাপ্রাপ্ত ) মো: মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় নিজেদের কথা চিন্তা না করে ঐ দি থেকেই সদর সার্কেল মো: জয়নাল আবেদীন ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতেয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সদর থানার পুলিশ সদস্যরা  রাতের আধাঁরে পানি বন্ধি মানুষদের উদ্ধার করতে ছুটে যান শহরতলির  বিভিন্ন গ্রামে এবং শতশত মানুষদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেন লঞ্চ এবং নৌকা যোগে। এছাড়াও সারা শহরজুরে প্রতিটি মহল্লায় বৃষ্টির মধ্যে কোমড় পানিতে দাড়িয়ে খাওয়া দাওয়া এবং নিজেদের ঘুম হারাম করে চুরি ডাকাতি বন্ধসহ পানি বন্ধি মানুষের মধ্যে পুলিশের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কাপড় বিতরণ পুলিশ সদস্যদের আলাদা আলাদা টিমের মাধ্যমে সদর থানা পুলিশের এমন সেবা দানের ভূমিকা রয়েছে এক অবিশ্বাস্য। সর্ব প্রথম বন্যা কবলিত মানুষের পাশে শুরু থেকে একই ভেজা  পোশাকে তিনদিন তিনরাত পানিবন্ধি মানষুদের উদ্ধার কাজ ও নিরাপত্তা দিতে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ সদস্যদের পানিতে দাড়িয়ে থেকে রাত্রিকালীণ টহল এমন ভূমিকা পূর্বের অনেক ইতিহাসকে হার মানানোর মত। সর্ব প্রথমে উদ্ধার কাজ ও চুরি ডাকাতি বন্ধে পানি বন্ধি মানুষের বাড়িঘর নিরাপত্তা রাখা ছিল পুলিশের প্রথম উদ্যোগ, তারপর পরই দ্রব্য মুল্য নিয়ন্ত্রণে হার্ট বাজারে অভিযান পরিচালনাসহ সদর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে খাদ্য সামগ্রী  বিতরণ অব্যাহত রাখা যা সুনামগঞ্জ সদর থানায় এক নতুন নজির সৃষ্টি করেছে। আর এসব সম্ভব হচ্ছে মানবিক পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় এবং সদর থানা পুলিশ সদস্যদের  সঠিক প্রদক্ষেপ ও নিরলশ পরিশ্রমের কারনে। শুধু তাই নয় সুনামগঞ্জ জেলার বন্যায় প্লাবিত প্রতিটি থানায় পানি বন্ধি মানুষের পাশে শুরু থেকেই পুলিশ সদস্যরা নিরলস সেবা দিয়ে প্রতিদিন সারাজেলায় প্রায় দশ হাজার পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও কাপড় বিতরণ করে সেবা অব্যাহত রেখেছেন পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের এমন নিরলস ভূমিকা ও সহযোগিতা বন্যা প্লাবিত সুনামগঞ্জ বাসীর মনে চির অমলিন এক নতুন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হরয়ছে। পুলিশের এমন মহান ভুমিকায় যদি ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মুখে একটু হাসি ফুটাতে পারে এটাই হবে পুলিশের পরিশ্রমের স্বার্থকতা এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেন পুলিশ সদস্যরা।



*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন