মোঃ তহিরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা
দর্শনা থানার এস আই নি: সুমন্ত বিশ্বাস বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আসা ফেনসিডিল গাঁজা সহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য দেশের যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে! এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। সময় এসেছে মাদক রুখে দাঁড়ানোর। মাদক সহ্য করলে, মাদক আমাদের ধ্বংস করে দেবে।
কয়েকজন মাদকাসক্তের সঙ্গে আলাপের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন তাদের জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোমরা মাদক খেলে মস্তিষ্ক শেষ হয়ে যায়, পুরুষত্ব নষ্ট হয়ে যায়।
নারী হলে বন্ধ্যা হয়ে যায়। লিভার, কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। এত কিছু ক্ষতি করে তোমরা কেন মাদক গ্রহণ করেছো? এ কথা শোনার পর তারা কেঁদে বলে, এ কথাতো কেউ জানায়নি। মাদক খেলে যে মানুষ আর মানুষ থাকে না জন্তু জানোয়ারে পরিণত হয়, সেটি আগে কেউ জানায়নি।
তিনি বলেন, মাদকাসক্ত সন্তানের হাতে বাংলাদেশে তিনশ’র বেশি মা-বাবা খুন হয়েছে। কীভাবে পেরেছে মা-বাবাকে হত্যা করতে।
মাদক গ্রহণের পর তারা আর সন্তান ছিলো না, পুত্র ছিলো না, কন্যা ছিলো না। জন্তু জানোয়ারে পরিণত হয়েছিলো। এ কারণে তারা নৃশংসভাবে আপন মা-বাবা ভাই-বোনকে হত্যা করতে পেরেছে। স্বপ্ন তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। পৃথিবীর মধ্যে বিস্ময়ে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। ছোট্ট এ দেশের উৎপাদন বিশ্বকে বিস্মিত করেছে। আপনারা নিশ্চয় জেনেছেন, বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে দ্বিতীয়। সবজি উৎপাদনে দ্বিতীয়। তৈরি পোশাক উৎপাদনের দ্বিতীয়। মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়। ছোট্ট একটি দেশ বিশ্বের মধ্যে শীর্ষস্থান ধরছে। এ অগ্রযাত্রা থামিয়ে দিতে প্রতিবেশী দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ফেনসিডিল গাঁজা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারা বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে য়াচছে।
এভাবে মাদক আগ্রাসন চললে উন্নত বাংলাদেশ কখনোই অর্জিত হবে না। তাই আজ সময় এসেছে মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর। প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ ঘোষণা করেছেন। এর অর্থ কোনোভাবেই মাদককে সহ্য করা হবে না। কারণ মাদককে যদি সহ্য করি তবে মাদক আমাদের ধ্বংস করে দেবে।
মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে-মাদককে রুখে দিতে দর্শনা বাসি প্রথম কাতারে আসীন থাকবে। আমি বিশ্বাস করি, এ যুদ্ধে দর্শনা বাসি জয়ী হয়ে দর্শনা মাদক আগ্রাসনের জায়গা নয়। যেখানে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয় সেখানে জয় সুনিশ্চিত। আরও আন্দোলন দুর্বার করবো, দুর্জয় গতিতে এগিয়ে যাবো। দর্শনাকে মাদকশূন্য করবো।