স্টাফ রিপোর্টার
বৃহত্তর করচার হাওর খ্যাত বিশ্বম্ভরপুরে মে মাসের শুরুতেই অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে যখন হাওর,বিল ও ডোবায় পানি জমতে থাকে তখনেই অভয়াশ্রমের রেনুপোনা দিকবিদিক ছুটে আশ্রয় নেয় নানান জলাশয়ে এবং ঝড়,বৃষ্টি উপেক্ষা করে রেনু নিধনে শুরু হয় মহোৎসব। এসময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই পরিলক্ষিত হয় হাটে,বাজারে,বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে। কারন সেখানে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতীর মাছের রেনু ধ্বংশের প্রকাশ্য প্রমান বিদ্যমান থাকে।দুর্ভাগ্য দেখার কেউ নেই। হাক ডেকে বিক্রি করছে রানী,ভেদুরী,কৈ,রুই,কাতলা,মৃগেল,বোয়াল,শিং,কার্প জাতীয় মাছের পোনা যা আইনত অবৈধ ও দন্ডনীয় অপরাধ।আইন ও আইনের শাসন মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন না থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগ ও স্থানীয় মৎস্যজীবিগন। তারা বলেন, হাওর,বিল ও খালে পানি প্রবাহের মৌসুম এখন এবং দেশীয় প্রজাতির মাছের পোনা অবাধে ধরার কারনে অদূরে মাছের আকাল দেখা দিবে।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোড়ালো ভূমিকাই পারে হাওর,খাল,বিলের মাছের বংশবৃদ্ধি সহ অর্থনৈতিক খাতকে সতেজ করতে। এ ব্যপারে বিশ্বম্ভরপুরের আঙ্গারুলী সনার হাওরের মৎস্যজীবি ও আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগ,ফতেপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শ্যামা চরন বর্মন জানান, যেভাবে কোনাজাল,কারেন্ট জাল দিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে মাছের পোনা নিধন হচ্ছে এতে আমরা মৎস্যজীবিগন বিপাকে ও দেশীয় সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। হালির হাওরের জেলে আলমগীর জানান, ছোট বেলায় শোনতাম মাছে ভাতে বাঙ্গালী, কিন্তু অবাদে দেশীয় প্রজাতীর পোনা যে হারে ধ্বংশ করা হচ্ছে তাতে অদুর ভবিষ্যতে মাছের আকাল দেখা দিবে। এ ব্যপারে উপজেলা মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান, দেশীয় মাছের রক্ষনা বেক্ষনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মৎস্যবান্ধব কর্মসূচী গ্রহন করেছে এবং তা বাস্তবায়নে স্থানীয়ভাবে কঠোর হস্তক্ষেপের প্রয়োজন। তাহলেই মৎস্য বান্ধব সোনার বাংলা গড়ে উঠবে। এ ব্যপারে উপজেলা মৎস্যজীবিলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পারভেজ জানান, সুনামগঞ্জ জেলায় সাড়ে তিন লক্ষ মৎস্য পেশাজীবি রয়েছে এবং মৎস্যকে কেন্দ্র করে হাজারো পরিবার জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। প্রশাসনীক হস্তক্ষেপ ও গণসচেতনতা তৈরীর মাধ্যমেই সম্ভব মাছের পোনা নিধন রোধ করা। তাহলেই সোনার বাংলার রুপ রেখা বাস্তবায়িত হবে।