সুনামগঞ্জে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবিলীগের ১৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত



বিশ্বম্ভরপুর প্রতিনিধিঃ

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে উৎযাপিত হয়েছে এর ১৯ তম জাতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।গতকাল ২২ মে দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সুনামগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে দিবসটি শুরুতে পাক কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে জেলা মৎস্যজীবিলীগের সম্মিলিত উপজেলা শাখার সকল সদস্যদের নিয়ে এক আনন্দ শোভাযাত্রা শহরের ব্যস্ততম রাস্তা ও গুরুত্বপূর্ণ অফিস চত্বর প্রদক্ষিণ করে দিবসটি জানান দেওয়া হয়।শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের কেন্দ্রীয় শাখার সহ-সম্পাদক জনাব ফজলুল হক,অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থাকেন জেলা আহবায়ক এ্যাড.আব্দুল কাদির জিলান, সদস্য সচিব আবিদুর রহমান তারেক,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সহ সভাপতি- আবুল হোসেন,ফজলুর রহমান,মিজানুর রহমান দেওয়ানী, সাধারন সম্পাদক সেলিম আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াহিয়া, সাবেক জাতীয় এথলেট শাহ দিলোয়ার হোসেন, জাতীয় শিল্পী সমিতির (চলচিত্র) পদক প্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সদস্য আশরাফুল ইসলাম পারভেজ, বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের - পলাশ ইউনিয়ন শাখা, ফতেপুর ইউনিয়ন শাখা, বাদাঘাট(দঃ) ইউনিয়ন শাখা, সলুকবাদ ইউপি শাখা, ধনপুর ইউপি শাখা সহ অন্যান্য উপজেলার তৃণমূল নেতৃবৃন্দ।শোভাযাত্রা শেষে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে শিখা প্রজ্জলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কেক কাটা হয়। কেক ও মিষ্টি বিতরনের পূর্বে ক্ষুদ্র আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ফজলুল হক এবং তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রীর উন্নয়নমূলক কাজে ইর্শান্বিত হয়ে যারা শ্রীলংকার সাথে তুলনা করছে তারা আর যাই হোক স্বাধীনতা ও এ বাংলার মানুষের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। তারা দুষর, তারা বিভ্রান্তকারী, তারা কুটচক্রী তাদের চক্রান্তর স্বাক্ষী ইতিহাস, কারন তারা এ দেশকে, দেশের মানুষকে শাসন-শোষন ও পরাধীনতার শিখলে বেধে রাখতে চাইছে বার বার। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু রহমান তা হতে দেন নি, তাই শুরু হলো তাদের চক্রান্ত এবং তারা 15ই আগষ্ট কালো রাতে নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে আমার মুজিব পরিবারের উপর কিন্তু ইতিহাস স্বাক্ষী এমন পিতা এমন অভিভাবক এমন বীর এমন সমন্বয়কারী এমন রাষ্ট্রনায়ক পৃথিবীর বুকে আর আসেনি এবং আসবেও না। হে বাঙ্গালী এখন কাঁদো, আর আসবেনা মুজিব কিন্তু মুজিবের আদর্শ রয়ে গেছে তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী মুজিবকন্যা উন্নয়নের রুদ্ধদ্বার ভেঙ্গে দাত ভাঙ্গা জবাব দিতে ক্রমেই উন্নয়নশীল বিশ্বে প্রবেশ করে আমাদের ডিজিটাল বাংলা উপহার দিয়েছে। আসুন তার হাতকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগে যোগদান করি। নিষ্টেষিত নির্যাতিত অসহায় এ জেলে বা মৎস্যজীবিদের পাশে দাড়াই এবং বিশ্বে ৩য় থেকে ১ম স্থানে মৎস্য রপ্তানিতে বাংলাদেশের নাম বিশ্ব দরবারে পৌছে দেই। জয় বাংলা বলে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন এবং মিষ্টি বিতরনের মাধ্যমে দিবটির সফল সমাপ্তি ঘোষনা করেন।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন