সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে থানা ভবন-সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) অফিসারের কার্যালয়ের পাশেই বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার এ মদের চালান জব্দ ও মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
আটককৃত মাদক কারবারির নাম রুবেল মিয়া। তিনি তাহিরপুর থানা সদরের মধ্য তাহিরপুরের কালা মিয়ার ছেলে। তাহিরপুর থানা ভবন ও সার্কেল অফিসারের কার্যালয়ের কাছে রায়পাড়ায় ভাড়া বাসায় থেকে সে দীর্ঘদিন যাবত মাদক বিক্রি করে আসছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯ সিলেটের মিডিয়া সেল গণমাধ্যমকে বিদেশি মদের চালান জব্দ ও মাদক কারবারিকে আটকের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাবের মিডিয়া সেল জানায়, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানা সদরের রায়পাড়া একটি বাসায় থেকে বিদেশি মদের কারবার খুলে বসেছিল রুবেল। বিষয়টি জানতে পেরে মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে র্যাব-৯ সিপিসি-৩ সুনামগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার সিঞ্চন আহমেদের নেতৃত্বে থানা সদরে রায়পাড়ায় রুবেলের বাসায় তল্লাশি চালায় র্যাব। তার বাসার একটি কক্ষে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ১১০ বোতল বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। একই সময় মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকায় রুবেলকে আটক করা হয়।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, থানার পূর্ব পাশেই রায়পাড়ায় রুবেলের বাসা।
থানা ভবন ও সার্কেল অফিসারের কার্যালয়ের পাশের রায়পাড়ায় থেকে দ্বীর্ঘ দিন ধরেই রুবেল কী করে বিদেশি মদের ব্যবসা করে যাচ্ছিলেন, এ ধরণের বড় একটি বিদেশি মাদকের চালান জব্দ করার পর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল অফিসার হিসাবে বক্তব্য জানতে সহকারী পুলিশ সুপার (তাহিরপুর-জামালগঞ্জ) সার্কেল মো. সাহিদুর রহমানের সরকারী মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন কল রিসিভ না করায় উনার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এরপর হোয়াটস আ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি ফিরতি কোন ম্যাসেজ প্রেরণ করেননি।