আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের তৎপরতায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার



মোঃ সাইফুল আল মামুন, মোঃ আশরাফুল হক মুক্ত দামুড়হুদা চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা থানাধীন বেলগাছি মালিথাপাড়া গ্রামের হযরত আলীর পুত্র মোঃ সবুজ আলী গত ২৫.০৪.২০২২ তারিখ সন্ধ্যায়  ঈদের কেনাকাটা করার জন্য আলমডাঙ্গা বাজারে আসে। রাত্র অনুমান ২০:২০ ঘটিকার সময় তিনি আলমডাঙ্গা গার্মেন্ট্স  পট্টির "লীমা" বস্ত্রালয়ের সামনে রাস্তার পাশে তাহার ব্যবহৃত "বাজাজ পালসার" মোটরসাইকেলটির চাবি ভুলে আনলক অবস্থায় রেখে কেনাকাটার জন্য উক্ত লীমা  বস্ত্রালয়ে প্রবেশ করেন। ০৫(পাঁচ) মিনিটের মধ্যে অর্থাৎ ২০:২৫ ঘটিকার সময় একজন অজ্ঞাতনামা ২৫/২৭ বছরের এক যুবক উক্ত মোটরসাইকেলটি চুরি করে পালিয়ে যেতে দেখে তিনি চিৎকার করেন এবং পিছু ধাওয়া করে। চোর মোটরসাইকেলটি বেপরোয়াভাবে দ্রুতগতিতে চালিয়ে গার্মেন্ট্স পট্টি ধরে আলিফ উদ্দিন রোড হয়ে হাইরোড ধরে পালিয়ে যায়। বিষয়টি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অফিসার ইনচার্জ আলমডাঙ্গা থানা  জানতে পেরে সাথে সাথে পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয় কে অবহিত করেন। পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয়ের নির্দেশে থানার একাধিক টিম গাড়িটি উদ্ধারের জন্য মাঠে নেমে পড়ে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করে মোটরসাইকেল উদ্ধারের চেষ্টা চালাতে থাকে। অতঃপর পরের দিন  ইংরেজি ২৬.০৪.২০২২ তারিখ আলমডাঙ্গা থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন্স) জনাব মোঃ একরামুল হোসেনের নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) আমিনুল হক, এসআই (নিঃ) সুফল কুমার বিশ্বাস ও এএসআই (নিঃ) মোঃ হামিদুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোঃ শফিকুল ইসলাম দিপু (২৪) পিতা- আশরাফুল ইসলাম, গ্রাম-রাধিকাগঞ্জ, আলমডাঙ্গা পৌরসভা, থানা- আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গাকে আলমডাঙ্গা বাজার হইতে ১৫:৩০ ঘটিকার সময় আটক করে। তাকে নিবিড় ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় মোটরসাইকেলটি মোঃ আফজাল হোসেন (২৫), পিতা- লুৎফর রহমান, গ্রাম-চক হারদি, থানা-মিরপুর, জেলা-কুষ্টিয়া  চুরি করেছে। তার দেওয়া তথ্যমতে আসামি আফজাল হোসেন কে আলমডাঙ্গা থানাধীন লালব্রিজ এলাকা হইতে আটক করা হয়। আফজালকে  জিজ্ঞাসাবাদে সে অকপটে  চুরির কথা স্বীকার করে এবং জানায় মোটরসাইকেলটি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানাধীন ইশালমারি গ্রামের জনৈক জিন্নাত আলী এর বাড়িতে রাখা আছে। তাৎক্ষনিক ভাবে আলমডাঙ্গা থানার উক্ত টিম আসামীদ্বয়কে নিয়ে রাত্র অনুমান ২০:০০ ঘটিকার সময় ইশালমারি গ্রামের জনৈক জিন্নাত আলীর বাড়িতে উপস্থিত হয়। আসামীদের দেখানো ও বাদী সবুজ আলী এর সনাক্ত  মতে চুরি যাওয়া  মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেন  এবং পুলিশ  হেফাজতে গ্রহণ করেন। এই ঘটনায় সবুজ আলী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় উক্ত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে একটি চুরি মামলা দায়ের করে। যাহা আলমডাঙ্গা থানার মামলা নম্বর-১৩, তারিখ- ২৭.০৪.২০২২ খ্রিঃ, ধারা-৩৭৯/৪১১ পেনাল কোড। আসামীদ্বয় পরস্পর যোগসাজসে মোটরসাইকেলটি চুরি করে গোবিন্দপুর একটি বাগানে রেখে দেয় রাতে আলমডাঙ্গা থেকে অন্যত্র স্থানান্তরের চেষ্টা করেও না পেরে আসামি মোঃ শফিকুল ইসলাম দিপু এর বাড়িতে রেখে খুব সকালে আসামি আফজাল মিরপুর ইশালমারি গ্রামের জনৈক জিন্নাত আলীর বাড়িতে তার নিজের মোটরসাইকেল বলে রেখে আসে। উক্ত মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আসামী আফজাল  বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। 


উদ্ধারকৃত মালামালের বর্নণাঃ-

একটি কালো-লাল রঙের BAJAJ PULSAR ১৫০ সিসি মোটর সাইকেল আছে। যার রেজি নং- চুয়াডাঙ্গা-ল-১২-২৭৪০, চেসিস নং- PSUA11CY6MTD04928, ইঞ্জিন নং- DHXCMM03597

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন