মোঃ সাইফুল আল মাসুম, দামুড়হুদা চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা ইটভাটাগুলোতে শুরু হয়েছে ইট তৈরির মৌসুম। ইটের মৌসুমকে ঘিরে পুরাতন অসংখ্য অবৈধ ইটভাটার পরও নতুন অবৈধ ইটভাটা স্থাপন হচ্ছে লোকালয়ে, কৃষিজমিতে । সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে উঠা এসব ইটভাটার অধিকাংশই ছাড়পত্র নেই। অবাধে পোড়ানো হচ্ছে জ্বালানি কাঠ। ফসলি জমি কেটে জেলা প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়া আনা হচ্ছে মাটি
এছাড়া আধুনিক প্রযুক্তির পরিবর্তে ব্যবহৃত হচ্ছে ৯৫ থেকে ১২০ ফুট উচ্চতার স্থায়ী চিমনি। কাঠ পোড়ানো ও স্বল্প উচ্চতার চিমনি ব্যবহার করায় ইটভাটাগুলোতে নির্গত হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কালো ধোঁয়া। এতে জনস্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইটভাটা সৃষ্ট দূষণে বয়স্ক ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া কালো ধোঁয়ার কারণে মানুষের ফুসফুসের সমস্যা, শ্বাসকষ্ট ও ঠান্ডাজনিত নানা রোগ দেখা দিতে পারে। ইটভাটাসৃষ্ট দূষণ পরিবেশ বিপর্যয়সহ কৃষি উৎপাদন ও ফলমূলের ফলন ক্ষতিগ্রস্ত এবং গাছপালার স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, ইটভাটার আগ্রাসনে নষ্ট হচ্ছে যেমন ফসলি জমি তেমনি পরিবেশ । অপরিকল্পিত ইটভাটা জমির সর্বনাশ ডেকে আনছে। যা কৃষি নির্ভর দেশের জন্য চরম হুমকিস্বরূপ।
চুয়াডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন অবস্থিত এস টি এইচ বি ব্রিকসের মালিক রফিকুল ইসলাম সহ অসংখ্য অবৈধ ইটভাটার মালিক প্রভাব খাটিয়ে বিঘায় বিঘায় আবাদি জমি নষ্ট করে অবৈধভাবে চালাচ্ছেন ইটভাটা। ফলে গাছে ফল ধরছে না ইটভাটার কালো ধোঁয়ায় বায়ু দুষণের প্রভাবে।
মানবাধিকারকর্মী, পরিবেশবিদরা জানান, যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপনের ফলে একদিকে কৃষি জমির ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। অন্যদিকে জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। দ্রুত অবৈধ ইটভাটাগুলো আইনের আওতায় আনা উচিত।
জীবননগর ইউএনও মিজানুর রহমান বলেন আমাদের কাছে য়দি কেও অভিযোগ করেন সে ব্যাপারে আমার তড়িক ব্যবস্থা নেবো।
এ ব্যাপারে এস টি এইচ বি ব্রিকসের মালিক রফিকুল ইসলাম বলেন আমাদের ভাটা মালিক সমিতির আছে যা কিছু শোনার সমিতির সভাপতি সাহেব এর কাছে শোনেন ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মোঃ মোতালেব সাহেব এর ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদফরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।