শাল্লায় ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষে ফাঁস দিয়ে অফিস সহায়কের আত্মহত্যা



সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পরিষদের এক অফিস সহায়ক । তার নাম মো. সাদ্দাম হোসেন নাম। সে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের  মো. নায়েব আলীর ছেলে। তবে সে কি কারণে অথবা কোন কারণ ছাড়া একজন সুস্থ মানুষ কিভাবে আত্মহত্যার পথ বেচেঁ নেয় সেটা বোধগম্য নয়। 


বুধবার বিকেলে সাদ্দাম হোসেন সবার অগোচরে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অমিতা রানী দাসের অফিস কক্ষে জানালার পাশে গ্রিলের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সে নিয়মিত অফিসে দায়িত্ব পালন করে আসলেও কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।  সে প্রতিদিনের ন্যায় অফিসে তার ডিউটি পালন শেষে এ আত্মহত্যা ঘটাতে পারে বলে জানা যায়। তবে কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা ময়না তদন্তের রির্পোট ছাড়া কিঠুই বুঝা যাচ্ছে না অথবা এ ব্যাপারে কাউ কিছু বলতে ও যাচ্ছেন না। তার অফিসের একজন সহকর্মী সন্ধ্যার দিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের কক্ষের দরজা খোলা দেখে দরজা বন্ধ করতে গিয়ে এ দৃশ্য দেখে চিৎকার দিলে লোকজন এসে ইউএনও এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে খবর দেন। খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে আসেন এবং থানায় খবর দেন। রাতে সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। 

এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলার বাঘবাড়ি এলাকার সাদ্দাম হোসেনের আপন ফুফাতো ভাই মো. বদরুল মিয়া গণমাধ্যমকর্মীদের জানান তার মামাতো ভাই সাদ্দাম খুবই ভাল মানুষ ছিল। সে কোন কারণ ছাড়া এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আসল রহস্য উদঘাটনে আইন শৃংখলা বাহিনীর উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান। 

এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা পরিষদে কর্মরত ছাতকের রেল কলোনীর রতন লালের পূত্র পরিচ্ছন্ন কর্মী সুমন লাল জানান, সন্ধ্যার সময় আমরা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষের দরজা খোলা দেখে দরজা বন্ধ মকরতে গিয়ে দেখি সাদ্দামের ফাঁস লাগানো দেহ। তবে সে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা গেলেও তার একটি পা চেয়ারের মধ্যে আরেকটি পা মাটির সাথে লাগানো। পরে বিষয়টি তাক্ষনিক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করি। 

এ ব্যাপারে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানালার পাশে গ্রিলের সাথে গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় সাদ্দাম হোসেনের লাশ দেখতে পাই। লাশের সুরতহাল শেষ করে ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অমিতা রানী জানান, আজ আমার শরীরটা গত দুইদিন ধরে ভাল ছিল না বলে অফিসে যাওয়া হয়নি। তবে তিনি সাদ্দামের মৃত্যুর সংবাদ শুনে মর্মাহত হয়েছি।  

এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব জানান, সাদ্দামের আত্মহত্যার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ও ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে সুরতঃহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বাস করতে পারছিনা সাদ্দামের মত একটি ভাল ছেলে এমন কাজটি করতে পারে। যতদিন অফিসে কাজ করেছে একদিনও তার ব্যবহার খারাপ দেখিনি।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন