জগন্নাথপুরে ভূমি নিয়ে বিরোধের জেরে আদালতে ঘর পোড়ানোর মামলা: এলাকায় সমালোচনার ঝড়



মোঃ আব্দুল ওয়াহিদ, জগন্নাথপুর::

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভূমি নিয়ে দুপক্ষের বিরোধের জের ধরে, আদালতে ঘর পোড়ানোর মামলায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। এ নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।  


জানা যায়, উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের বড়ফেসি গ্ৰামের মৃত কাঁচা মিয়ার ছেলে  সুরত মিয়া গং ও মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে মসহুদ মিয়া গং দের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে বিগত ১৩ জুন ২০২১ ইংরেজি তারিখে সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে এক সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে উভয় পক্ষ অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত হয়। এবং গত ১৩ জুন২০২১ইং একটি অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন উভয় পক্ষ । সরোজমিন কালে -  মসহুদ আহমদ বলেন, অঙ্গীকার নামার শর্ত  অনুযায়ী ১ম পক্ষ ছুরত মিয়া গং দের এক একর(১০০ শতক) ভূমি আমরা রেজিস্ট্রী করে দিয়েছি । পরবর্তীতে   ছুরত মিয়া ১ একর ভূমি রেজিস্ট্রার করে নিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিল করে বিচার সালিশ কে অমান্য করে অঙ্গীকারনামার শর্ত ভঙ্গ করে আমাদের  মালিকানা ও দখলীয় ফিশারির পারে খঢ় পুড়িয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে ।


ছুরত মিয়া গং বর্তমান  আর এস দাগ ও খতিয়ান না দিয়ে অন্যের নামের সাবেক এসএ দাগ ও খতিয়ান দিয়ে তথ্য গোপন করে আদালতে মামলা দায়ের করে। তিনি আরো বলেন, ১৪৬ নং এস এ খতিয়ানের মালিক আব্দুল মনাফ পিতা ইয়াকুব উল্লা, হাফিজা বিবি স্বামী ইয়াকুব উল্লা এই খতিয়ান দিয়ে আদালতে মামলা করেছে। মামলা নং সি আর ১৭৮/২০২১ । মুলত তাদের এস এ খতিয়ান নং ২৭৮। আপোষ মীমাংসায় বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়ায় দিন দিন ক্রোধ বাড়তে থাকে। উভয়পক্ষের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জগন্নাথপুর  থানায়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ও আদালতে একাধিক মামলা-মোকদ্দমা ও অভিযোগ রয়েছে । বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্য টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরেজমিন কালে  জানা যায় উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের  বড় ফেসি মৌজার আর এস ২৯৫ নং খতিয়ানের,আর এস ১০১৯-নং দাগের ভূমির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হারিয়ার খাল।কালের পাড়ে কোন  প্রকার ঘর ছিল তার কোন আলামত পাওয়া যায়নি বরং খালের পাড়ে কিছু খড় পুড়ানোর আলামত বিদ্যমান রয়েছে। 


মসহুদ মিয়া গ্ং ও এলাকাবাসী  জানান, বিরোধীয় ভূমি মসুদ গংদের মালিকানা ও দখলে থাকায়,এ খতিয়ানের রেকর্ডিও মালিক মসহুদ মিয়ার মা,বোন ও ভাতিজিদের নামে থাকায় ১৯৯৯সালে তসদিককৃত ২০১৫ সালে প্রিন্ট ও ২০১৭সালে গেজেট হয়। মসহুদ নিয়ার ভাই মুজিবুর রহমান মুরাদ বলেন গেজেট হওয়ার পর থেকে ছুরত গংরা  আমাদের  পরিবারের উপর বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকিসহ প্রকাশ্যে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের হামলা ও অত্যাচারের কারণে আমি জগন্নাথপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছি যার নং ১০৭৮ ও জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে আরো একটি অভিযোগ দায়ের করি । অভিযোগ দায়েরের পর থেকে ছুরত মিয়া গ্ং আমাদের মালিকানা হারিয়ার খালে অবস্থিত জলমহালের পারে কিছু দুষ্কৃতিকারী মিলে কিছু খড় পুড়িয়ে আদালতে ঘর পোড়ানোর  মিথ্যা মামলা দায়ের করে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ভিত্তিহীন কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যা আমাদের পরিবারের মানহানিকর। আমরা আদালতের কাচে এর সুবিচার কামনা করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন