শাহীন আলম, কোম্পানীগঞ্জ, সিলেট
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের সামনে মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূল ছিনতাইকারীসহ চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ বুড়দেও গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে সজল আহমদ (২৪), এসএমপি শাহপরান থানার ইসলামপুর এলাকার মৃত বদরুল ইসলামের ছেলে খায়রুল ইসলাম রায়হান (২০), এসএমপি শাহপরান থানাধীন সুরমা গেট এলাকার বশির আহমদ এর ছেলে আল আমিন হোসেন শিমুল (২০), একই এলাকার আব্দুল মোতালেব এর ছেলে জিহাদ (২০), কানাইঘাট থানাধীন ঢালাইচর গ্রামের হারুনুর রশিদ এর ছেলে আলী হোসেন জনি (২৪), শিবনগর গ্রামের এবাদত রহমানের ছেলে মারুফ আহমদ (২৭), শ্রীপুর গ্রামের মৃত কুতুব আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন দুলাল।
গত ১০ মে সন্ধ্যার সময় কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন দয়ারবাজার পয়েন্ট হতে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক কোম্পানীগঞ্জ কালিবাড়ী গ্রামের বিলাল আহমদকে এক ছদ্মবেশী ছিনতাইকারী ভাড়ায় বুড়িডহর গ্রামে যাওয়ার জন্য ৩৫০ টাকায় চুক্তি করে। সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে সাত ঘটিকার সময় সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজের সামনে পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী অজ্ঞাত দুইজন ছিনতাইকারী রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়, পরে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীসহ অজ্ঞাত দুইজন ছুরি দিয়ে প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে বিলাল আহমদ এর মোটর সাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম মহোদয় উদ্বেগ প্রকাশ করে ছিনতাইকারী চক্রকে গ্রেফতারের জন্য নির্দেশনা দেন
। পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে কোম্পানীগন্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব কে এম নজরুল, অফিসার ইনচার্জ জেলা গোয়েন্দা শাখা (উত্তর) জনাব মো: সাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এস আই সুকোমল ভট্রাচার্য্য, এসআই এয়াকুব হোসেন এবং কানাইঘাট থানার এএসআই শুভাশীষ চৌধুরী সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে কানাইঘাট থানা, এসএমপি এবং কোম্পানীগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় ধারাবাহিক অভিযানে উল্লেখিত আসামীদের গ্রেফতার কর হয়। এদের মধ্যে সজল আহমদ ঘটনার সময় সরাসরি ছিনতাইকাজে অংশ গ্রহণ করে । অপর আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেল একে অপরে নিকট বিক্রি করেছে। সবশেষ আসামী মারুফ এর হেফাজত থেকে ভিকটিমের ছিনতাইকৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। আসামী আল আমিন শিমুলের তথ্যের ভিত্তিতে অপর একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে, যেটি আপাতত চোরাই মোটর সাইকেল মর্মে মনে হচ্ছে।