বিশ্বম্ভরপুরে ১১ বছরের বালিকার জীবন বাঁচালেন ইউএনও



আশরাফুল ইসলাম পারভেজ, বিশ্বম্ভরপুর

সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক গ্রামের এক বাল্য বিবাহ বন্ধ করে ব্যপক আলোচনায় এসেছেন নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিউর রহিম জাদিদ । জানা যায়, ৭ জুন(সোমবার) প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় গ্রামবাসীর নাকের ডগায় বেশ ঘটা করে বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঠিক তথ্য ও প্রমানাদি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার শাহপরানকে ফোন দিলে তাহার ফোন বন্ধ থাকে। তিনি সরেজমিনে বিশ্বম্ভরপুর থানার এস আই পংকজ ও একটি সক্রিয় ফোর্সসহ সলুকাবাদ ইউনিয়নের ভাদেরটেক গ্রামে মাহমুদ আলীর বিয়ের বাড়িতে উপস্থিত হন, এবং ঘটনার সত্যতার প্রমান পান।



 বিয়ের বর সুহেল আহমদ (৩০) একই উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের বাঘবেড় বাজারের পাশের বাড়ির মৃত ছমির উদ্দিনের পুত্র ও ভাদেরটেক গ্রামের মাহমুদ আলীর নাবালিকা কনের সাথে বিয়ে হলে, মেয়ের জীবনটা ধ্বংস সহ দুইটি পরিবারের দুঃখ নেমে আসবে। বিধায় তিনি কনের বয়স প্রমানের জন্য ডাক্তারী পরীক্ষা করান এবং বয়স বিয়ের অনুকুলে নয় বা নাবালিকা প্রমান হয়।



তিনি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে দু’টি পরিবার ও ১টি নাবালিকার প্রাণ রক্ষার্থে উভয় পক্ষের অভিভাবকদের উপস্থিত সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের স্বাক্ষী করে মাহমুদ আলী’র মুচলেকা গ্রহন করেন যে, ‘আমার মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিব না’। এ ব্যপারে সাদিউর রহিম জাদিদ জানান, বাল্য বিবাহ একটি অপরাধ, এতে একটি বা দুটি প্রাণ নয় পুরো দুটি পরিবার অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমি আমার উপজেলাকে শতভাগ বাল্যবিবাহ মুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে এলাকাবাসীর সুশিল ও সচেতন মহলের বক্তব্য হচ্ছে যে, এভাবে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ নিলে বাল্যবিবাহের মত অপরাধ বন্ধ করা যাবে। স্থানীয়ভাবে প্রতিকারের চেষ্টা চালালে অনেক সময় দাঙ্গা-হাঙ্গামা বা আইন ভঙ্গের আশংকা থাকে বিধায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও গণসচেতনতাই পারে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন