নদী খননে চলছে বি আই ডব্লিউ টি এর অনিয়ম



নাদিয়া আক্তার, নিজস্ব প্রতিবেদক::

সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা নদীর ধুপাজান চলতি নদী।বিগত দুই বছর ধরে ঐ নদীতে চলছে নদী খননের কাজ। সেখানে কি সঠিক নিয়মে কাজ হচ্ছে নাকি অনিয়ম এমন প্রশ্ন এখন অনেকের মাঝে? সরেজমিনে এবং এলাকাবাসীর সাথে আলাপ করে যানা যায় নদী খননের সময়  নদীর মধ্যে থাকা বালি ও মাঠি অনাবাদি জমি নিচু ভুমি ও পরিত্যক্ত খালের মধ্যে ফেলার কথা থাকলেও সেটি না করে ঐসব বালি মাটি নিচু জমিতে না ফেলে আবাদ ফসলের মাঠের উপর ফেলে আবাদি ফসলের জমিকে করা হচ্ছে ফসল চাষের অযোগ্য। দেখা যায়  সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের একটি জনসমাগম  এলাকা হিসেবে রয়েছে বালাকান্দা বাজার। বাজারের চারপাশে উচু ভুমি রয়েছে তারপরও কিছু মানুষ জমিতে বাদ দিয়ে জমি অনেক উচু করে ফেলে রাখেন আর এসব কারনে  পাশে থাকা নিচু জমি ঘর বাড়ি ও বালাকান্দা বাজার পরিনত হচ্ছে বদ্দ জলাভূমিতে। বালাকান্দা বাজারের চারপাশ উচু হয়ে যাওয়ায় বাজারের মধ্যে পানিজমে বাজারের চারপাশ ও রাস্তা ঘাট পানির নিচে অবস্থান করছে। বাজারের আশপাশের বসতবাড়ি তলিয়ে আছে পানির নিচে।এলাকা বাসী অনেকের সাথে আলাপ করে যানা যায়  ঐ ড্রেজিং কোম্পানির সদস্যগন টাকার বিনিময়ে বালু ভরাট করে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাক্ষ লক্ষ টাকা এমনটি শুনা যায় সেখানে গেলে । যারা  টাকা বেশি দিচ্ছে তার জমিতে মাটি দিয়ে বরাট করে দেওয়া হচ্ছে  পাহাড় সমান। আর যাদের সাথে ড্রেজিং কোম্পানির সদস্য গনের ভালো সম্পর্ক নেই এবং টাকা দিচ্ছেনা তাদের আবাদি ফসলের মাঠ হয়ে উঠছে গর্ত জনিত জলাশয়।এক দিকে যেমন লাভবান হচ্ছে হাতেগুনা প্রভাবশালী কয়েকজন অন্য দিকে আবাদি ফসলের কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে নষ্ট হচ্ছে জমির ফসলি ভুমি ও অসহায় মানুষের বাড়িঘর। এব্যাপারে জানতে চাইলে ড্রেজিং কম্পানির কেউ মুখ খুলতে রাজি না থাকায় কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি বিষটি সরে জমিনে উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ ক্ষতিয়ে দেখবেন এবং অসহায় মানুষের বাড়িঘর ও আবাদি ফসলের জমি । জলাশয় থেকে রক্ষা করতে কার্যকর  ব্যবস্থা গ্রহন করবেন এমনটি  আশা করে সাধারন মানুষ।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন