সৌদি আরবে ৬ মাস ধরে নিখোঁজ জগন্নাথপুরের মেয়ে: সন্ধান পেতে সাহায্য কামনা


গোবিন্দ দেব, জগন্নাথপুর

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের অসহায় এক কৃষকের স্ত্রী ৬মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। সাহায্য পেতে বার বার দালালের কাছে বলেও সন্ধান পাচ্ছেননা অসহায় পরিবার। অবশেষে রবিবার (৯মে) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে সন্ধান পেতে সাহায্যের আবেদন করেছে পরিবারটি। দরখাস্ত ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে সোনাফর আলীর ছেলে আমির উদ্দিনের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর রানীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্ব্বপুর গ্রামের আব্দুল হকের স্ত্রী মোছাঃ নাজমা বেগম (৩৬) কে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিল। সৌদি আরব যাওয়ার পর প্রায় দুই তিন মাস পর পর যোগাযোগ করলেও গত ৬ মাস ধরে পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। গত ৬ মাস ধরে কোনো যোগাযোগ না করায় অসহায় হয়ে আমির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে স্ত্রীকে দেশে আনার জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা নিয়ে তার স্ত্রীকে দেশে আনে নাই। পরে স্থানীয় অনেকের সাথে যোগাযোগ করে আমির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এ বিষয়ে কিছুই জানেনা। এ ব্যাপারে আব্দুল হক বলেন, আমি দালাল আমির উদ্দিনের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর আমার স্ত্রীকে সৌদি আরবে পাঠিয়েছিলাম। আমার ঘরে ২টি মেয়ে রয়েছে। আমি কৃষক মানুষ কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করি। প্রত্যেক দিন কাজ করে বাড়ীতে ফিরে আসলে আমার মেয়েদের কান্নায় ঘরে থাকতে পারি না। এখন আমি অসহায় হয়ে গেছি আমার উপজেলা প্রশাসন সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন আমার স্ত্রীকে খোঁজ নিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা হউক। এ ব্যাপারে জানতে আমির উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার মাধ্যমে মোছাঃ নাজমা বেগম সৌদি আরব গিয়েছিল। প্রায় ১৮ মাস বাড়িতে বেতনও দিয়েছেন। পরে মালিকে সাথে ঝগড়া করে কাজ না করায় সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। হ্যা তারা আমাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল। দ্রুত দেশে আনার জন্য কিন্তু অল্প সময়ে ভিতরে দেশে না আনতে পারায় আবার তাদের টাকা তার বোনের জামাই আব্দুল মালিকে মাধ্যমে ফেরত দিয়েছি। আমার উপর আনিত অভিযোগ মিথ্যা। আমি এখনো চেষ্টায় আছি মহিলাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে। লকডাউনের জন্য পুরোপুরি কাজ করতে পারছিনা কিন্তু চেষ্টায় আছি।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন