দিরাইয়ের যে সড়ক নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়



মুহিবুর রহমান, দিরাই

সুনামগঞ্জের দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া বাজার হতে পার্শ্ববর্তী দিরাই উপজেলার বাংলাবাজার পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘ দিন যাবত বেহাল দশায় পরিণত। সড়কটি যান ও জন চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার উপকমায়। টানা কয়েক বছর সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। সড়কের মধ্যভাগে লোহার রোড বের হয়ে থাকায় যে কোনো সময় প্রাণহানীসহ বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন  সরকারি দপ্তরে সড়কটি সংস্করের জন্য আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি বলে জানা যায়। বেশ কিছু দিন যাবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন এ সড়ক নিয়ে ফুটে উঠেছে হতাশা ও ক্ষোভ। স্থানীয়রা জানান, ভাটিপাড়া, রফিনগর, ও দক্ষিন সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নসহ প্রায় হাজার হাজার লোকজন প্রতিনিয়ত এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে ।  সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায়  বর্র্তমানে স্থানে স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে এতো বেশি পরিমাণ কাদা সৃষ্টি হয়েছে একটি গাড়ির অর্ধেক অংশ কাদা মাটিতে দেবে যায়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে মিনি ট্রাক, পিকআপ, সিএনজি, আটোরিক্সা, মোটারসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের শতাধিক যানবাহন ও বিভিন্ন স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে যোগাযোগ করছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বিশেষ করে গর্ভবতী নারী, অসুস্থ ও বয়স্ক লোকজনের যাতায়াত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।সরেজমিনে দেখা যায, পাথারিয়া-বাংলাবাজার সড়ক এখন এক একটি একটি মিনি পুকুরে রূপ নিয়েছে। ছোটবড় যানবাহন প্রতিদিন গর্তের মধ্যে আটকা পড়ছে। কখনও যাত্রীবাহী গাড়ি উল্টে দূর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে শিমুলবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুরাদপুর গ্রামের বাসিন্দা, মিজানুর রহমান জিতু বলেন, পাথারিয়া-বাংলাবাজার সড়ক এখন মৃত্যুফাঁদে পরিনত হয়েছে। ভাঙ্গা রাস্তার ফলে এলাবাবাসী চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। আমরা এলাকাবাসীর ব্যানারে অনেকবার সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি  আকর্ষনের চেষ্টা করেছি কিন্তু এত আশ্বাসের পরও আমাদের এই অনিমজ্জিত সড়কের দাবীটি অধরাই রয়েগেছে। যদি রাস্তাটি সংস্কর এবং অনিমজ্জিত করা হয় তবে এই এলাকার মানুষের জীবনের ব্যাপক উন্নতি হবে। ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা, আবু হানিফ চৌধুরী বলেন, সরকার হাজার হাজার কিলোমিটার রাস্তার উন্নয়ন করছেন অথচ পাথারিয়া- বাংলাবাজার সড়ক মাত্র সাড়ে ১১ কিলোমিটার দুরত্ব। এই রাস্তা দিয়ে জেলার ৩টি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে প্রতিদিন বাঙ্গাচোরা রাস্তা দিয়ে মানুষ প্রতিনিয়িত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। অবিলম্বে পাথারিয়া-বাংলাবাজার অনিমজ্জিত রাস্তা করে দিতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি। এ সড়কের মোটারসাইকেল চালক শাহআলম বলেন, স্থানে স্থানে ভেঙ্গে ও পাকা উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে কাদা সৃষ্টি হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। রাস্তাটি মেরামত করতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এ বিষয়ে দিরাই উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার হোসেন বলেন, এই সড়কে আবুুরায় রুপান্তরিত করতে মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রীর সুপারিশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে একটা প্রকল্প পাঠানো হয়েছে, আমি আশাবাদি  এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি আবুরা সড়কে রুপান্তরিত হবে।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন