জগন্নাথপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা


স্টাফ রিপোর্টার 

পুলিশে চাকরি  করবে। আশা পর্ণ হলো না সুমা দাসের। বাবা মায়ে কষ্ট দূর করতে গিয়ে, লেখা পড়ার দিকে মনোযোগী হন সুমা। বাবা নেরেশ দাস একজন জেলে, তিন মেয়ে দুই ছেলে, সুমা ছিলো দ্বিতীয় মেয়ে। লেখাপড়ায় খুব ভালো ছিল, আশা ছিলো এবার বাংলাদেশ   পুলিশ কনস্টেবল পদে দাঁড়াবে। জনগনের সেবা করবে।সেই আশা আজ শেষ করে না ফেরার পথে চলে গেল সুমা। ঘটনাটি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর  উপজেলায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোরীর আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার  (৭ মে  ) সকাল  সাড়ে ৯ টায় জগন্নাথপুর  উপজেলার পাইলগাওঁ  ইউনিয়নের হাড়গ্রামে   নরেশ দাসের  মেয়ে নিজ ঘরের  তীরের   সাথে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। জানা যায়, হাড়গ্রামে নরেশ দাসের দ্বিতীয় মেয়ে সুমা দাস। সে ইনাতগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ডিগ্রিতে পড়াশোনা করত। শুক্রবার সকাল ৯ টায় দিকে সুমা রানী দাস  (১৮ ) কে ঝুলন্ত অবস্থায় পাশের বাড়ির এক মহিলা জানালা দিয়ে দেখতে পেয়ে হৈচৈ শুরু করলে মেয়ের মা ঝুলন্ত অবস্থায়  দেখতে পান,স্হানীয় লোক জন জগন্নাথপুর  থানায় খবর দিলে এস আই শামিম আহমেদ ঘটনা স্হল পরিদর্শন করেন লাশ উদ্ধার করে, থানায় নিয়ে আসে।এবং ময়না তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ হাসপাতালে প্রেরন করেন জগন্নাথপুর  থানার এস আই শামিম  তার মৃত্যুর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। এস আই শামিম বলেন সুমা আত্মহত্যা করেছে। কিন্তুু , আত্মহত্যা কারন,  জানা যায় নি, এলাকার লোক জন বলছে মেয়ে মানসিক রোগে আক্রান্ত ছিলো।এখন অপমৃত্যু  মামলা হবে।

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন